Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home তিমির বমি কেন স্বর্ণের মতো দামী
Default

তিমির বমি কেন স্বর্ণের মতো দামী

Mynul Islam NadimOctober 12, 20245 Mins Read
Advertisement

জুম-বাংলা ডেস্ক : ধরুন আপনি সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে বিশাল ঢেউয়ের গর্জন শুনছেন আর নোনা জলে পা ভেজাচ্ছেন। এমন সময় আপনার পায়ের কাছে ভেসে আসলো দলাকৃতির একটি বস্তু। পরক্ষণেই আপনি জানতে পাড়লেন এগুলো তিমির বমি। এটি এড়িয়ে যাওয়ার জো নেই। কারণ এর দাম কোটি টাকার বেশি!

timi

এসব শুনতে অবাক লাগছে তাই না। অবাক লাগলেও সমুদ্রের বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির বমির দাম কোটি টাকার বেশি। দামের কারণে তিমির বমিকে ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা বলা হয়।

তবে আন্তর্জাতিকভাবে তিমির বমির নাম অ্যাম্বারগ্রিস। ফরাসি শব্দ অ্যাম্বার আর গ্রিস মিলে ইংরেজি অ্যাম্বারগ্রিস শব্দটি এসেছে। মূলত, স্পার্ম তিমির পেটে তৈরি হয় এই অ্যাম্বারগ্রিস। কালোবাজারে অ্যাম্বারগ্রিসের চাহিদা প্রচুর। যে কারণে অ্যম্বারগ্রিস পাচারে আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত।

সম্প্রতি কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম এমনই অমূল্য তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া দামের রহস্য কী?

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা করা হয় ওই তিমির বমি। অবশ্য কক্সবাজারের রামুর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তার মধ্যে থাকা জব্দ হওয়া চালানটি অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমির বমি।

তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এটি ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা নামেও পরিচিত।

স্পার্ম হোয়েল বা ক্যাশালট থেকে এটি উৎপাদিত হয়। মানুষ বহু আগে থেকেই এটি ব্যবহার করে এলেও এর উৎস ছিল অজ্ঞাত। এমনকি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বছরের পুরোনো ফসিলের নমুনাও মিলেছে অ্যাম্বারগ্রিসের। মানুষ এটি কাজে লাগাতে শুরু করে তা-ও অন্তত হাজার বছর আগে থেকে।

কিন্তু এই বস্তু আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে ডালপালা মেলছিল নানা তত্ত্ব। কেউ ভাবছিলেন এটি সমুদ্রের ফেনার কঠিন রূপ, কেউ আবার বলছিলেন জিনিসটি আর কিছু নয়, বিশাল কোনো পাখির মল।

যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, রহস্যময় পদার্থটির উৎস সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রথম পরিষ্কার হয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, বিপুল পরিমাণ তিমি শিকার শুরু হওয়ার পর। তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কখনো কখনো ভাসমান অবস্থায় সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।

ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম আরও জানায়, তিমির খাবারের একটি বড় অংশ আসে স্কুইড জাতীয় প্রাণী থেকে। তিমিরা অপাচ্য বা হজম না হওয়া বেশির ভাগ অংশ বমি করে দিলেও কিছু অংশ অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে এটি একটি কঠিন অ্যাম্বারগ্রিসের পিণ্ডে পরিণত হয়। বছরের বছর ধরে জমতে জমতে যা আকারে বড় হয়।

কিন্তু কথা হলো এই অ্যাম্বারগ্রিসের দাম এত বেশি কেন? তিমির বমির দুষ্প্রাপ্যতা এবং সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারই একে এতটা মূল্যবান করে তুলেছে। এর ঘ্রাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো কস্তুরির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, যদি পারফিউম তৈরির কারখানায় সুগন্ধ বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধ পছন্দ করেন, তাহলে অ্যাম্বারগ্রিসের আউন্স-প্রতি মূল্য কয়েক হাজার ডলার হতে পারে।

কখনো অ্যামব্রেইন নামক গন্ধহীন একধরনের অ্যালকোহলের কারণে এটি আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে এই অ্যালকোহল বের করা হয়। পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় অ্যামব্রেইন। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে কী পরিমাণ অ্যামব্রেইন পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাম্বারগ্রিসের রং দেখে এটি অনুমান করা যায়। কালোর মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যামব্রিন এবং সাদার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত সাদা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে সেরা মানের পারফিউম বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়।

পারফিউম বা সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেইমেনের মালিক নভেম্বার নিকোলাস বলেন, এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান পদার্থ, যা তার অনন্য গন্ধ এবং সংরক্ষণকারী গুণাবলির জন্য পরিচিত। এটি যুক্ত করা হলে সুগন্ধ আরও গাঢ় ও স্থায়ী হয়।

নিকোলস বলেন, অ্যাম্বারগ্রিস তীক্ষ্ণ বস্তু (যেমন—স্কুইডের ঠোঁট) থেকে তিমির অন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য উৎপাদিত হয়। একপর্যায়ে তিমি এটি উগরে দেয়। তখন সমুদ্রে ভাসতে বা উপকূলের কাছে দেখা যায়।

তবে কীভাবে পদার্থটি সমুদ্রে অবাধে ভাসতে থাকে, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিমি এটি মলের সঙ্গে ছেড়ে দিতে পারে। কেউ আবার মনে করেন, এটা এত বিশাল হয়ে যায় যে এর কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে প্রাণীটির মৃত্যুও হতে পারে।

স্পার্ম হোয়েল বা তিমিরা সারা বিশ্বে বাস করে, যার অর্থ অ্যাম্বারগ্রিস যেকোনো সাগর-মহাসাগর বা বেশির ভাগ উপকূলে ভেসে থাকতে দেখার কথা। কিন্তু তা হয় না। তেমনি খুব কম তিমির মৃতদেহেই অ্যাম্বারগ্রিস মেলে।

আঠারো শতকে বিপুল পরিমাণে তিমি শিকার শুরুর আগে বিশ্বে ১১ লাখ স্পার্ম তিমি ছিল। এখন কেবল ৩ লাখ অবশিষ্ট আছে। আর তাই পাছে তিমি শিকারে উৎসাহিত করে, তাই অনেক দেশে সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস নিষিদ্ধ। তেমনি অবৈধ এটি কেনাবেচায়ও। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ।

এদিকে কক্সবাজারে অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধারের পর বিজিবি জানায়, তিমির বমি হিসেবে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিসের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ হয়ে অ্যাম্বারগ্রিসের চোরাচালান বিরল ঘটনা।

কিন্তু মন মাতানো সৌরভ ছড়ানো ফরাসি সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস এখনো খুব সাধারণ একটি উপাদান। ফ্রান্স ছাড়াও ইংল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে এর বিপণন বৈধ।

ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর রিচার্ড সাবিন বলেন, তিমি এখন বিশ্বজুড়েই সংরক্ষিত। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাম্বারগ্রিসের সিনথেটিক বিকল্প পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে তিমি থেকে সম্পদ আহরণের চিন্তাটা দূর হবে।

এটি অনুমান করা হয় যে শুধু ১ শতাংশ তিমি অ্যাম্বারগ্রিস এভাবে বের করে দিতে সক্ষম। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এটি এত দামি হয়েছে। আবার মানভেদে কেজিপ্রতি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম হতে পারে কয়েক লাখ টাকা থেকে দেড়-দুই কোটি টাকা।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাপক একটি মৃত তিমির অন্ত্রে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড খুঁজে পান, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। স্পেনের দ্বীপ লা পালমার সৈকতে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। অন্তোনিও ফার্নান্দেজ নামের ওই অধ্যাপক তিমিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ইউনিভার্সিড দে লাস পালমাস ডি গ্রান ক্যানারিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটির প্রধান ফার্নান্দেজ তিমিটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামেন। তখনই আবিষ্কার করেন, প্রাণীটির অন্ত্রে আটকে ছিল ২১ পাউন্ড ওজনের একটি পিণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলারের এই পিণ্ড অ্যাম্বারগ্রিসের তৈরি।

বিশ্বের যেসব দেশে সেনাবাহিনী নেই

বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালে এডেন উপসাগরে একদল জেলে আরব আমিরাতের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ ডলারে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় তাতে ৩৫ জেলের সবাই বাড়ি, গাড়ি এবং নৌকা কেনেন।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
discover কেন তিমির তিমির বমি দামী? বমি মতো স্বর্ণের
Related Posts
‘ধুরন্ধর’

৬ দেশে নিষিদ্ধ ‘ধুরন্ধর’

December 14, 2025
What Channel Is Mavericks vs Nets On Tonight

What Channel Is Mavericks vs Nets On Tonight? TV and streaming details

December 13, 2025
Devin Booker return timeline

Devin Booker Return Timeline Injury Update: Will the Suns Star Play vs Thunder?

December 10, 2025
Latest News
‘ধুরন্ধর’

৬ দেশে নিষিদ্ধ ‘ধুরন্ধর’

What Channel Is Mavericks vs Nets On Tonight

What Channel Is Mavericks vs Nets On Tonight? TV and streaming details

Devin Booker return timeline

Devin Booker Return Timeline Injury Update: Will the Suns Star Play vs Thunder?

What happened to Joe Mixon injury update

Joe Mixon Injury Update: Will the Texans RB Return This Season?

নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

শাহরুখ খানের মার্কশিট

সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহরুখ খানের মার্কশিট ভাইরাল

দীপিকা -রণবীর কাপুর!

আলিয়াকে না নিয়ে যে কারণে দীপিকাকে বেছে নিলেন রণবীর কাপুর!

ইতালির সঙ্গে পাকিস্তান

ক্রিকেট নিয়ে ইতালির সঙ্গে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক সমঝোতা

আফটার শক

আফটার শক আর কতদিন?

CCTV

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখতে চায় ইসি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.