লাইফস্টাইল ডেস্ক : সম্পর্কে জড়ানোর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, সঙ্গী বা সঙ্গিনী তাদের জন্য মানানসই তো? কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রশ্নের উত্তর তো মেলে না। সময়ই শেষ পর্যন্ত তা জানিয়ে দেয়। অনেক সময় কয়েক বছর এক সঙ্গে কাটানোর পরেও বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
তা হলে বুঝবেন কী করে যে আপনি যার সঙ্গে ঘর করছেন বা সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তিনি আপনার জন্য সত্যিকার অর্থেই মনের মতো মানুষ? জানার জন্য একটু চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আর মিলিয়ে নিতে হবে এই ৭ সংকেত। যদি এগুলো সহজে দেখতে পান, তা হলে জানবেন আপনার জীবন সঙ্গিনী বা প্রেমিকা একেবারে পারফেক্ট।
১. মনের যোগাযোগ : মনোবিদরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ সুখী দম্পতিরা বলেন তাদের মধ্যে একটা নিবিড় যোগ অনুভব করেন। সম্পর্কের একেবারে শুরু থেকেই। একটা কথা মনে রাখতে হবে, যদি কারও প্রতি আপনি টান অনুভব না করেন তবে তাকে ভালোবাসা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র শারীরিক টান নয়, মনের টানই কিন্তু আসল। নারীদের ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, বাহ্যিক সৌন্দর্য তাদের কাছে ততটা বিচার্য হয় না।
২. একই ভাবনা : অনেক সময় আপনি যা ভাবছেন তা বলার আগে আপনার সঙ্গিনী বলে ফেলবেন। বা আপনি যা ভাববেন তা হঠাত্ করে আপনার সামনে এনে হাজির করবেন। এটা মনে মিল থাকলেই সম্ভব। তার মানে এটা নয় যে আপনাদের মতের অমিল হবে না। মতের অমিল হওয়া এবং তা নিয়ে আলোচনা করা সুস্থ সম্পর্কের চিহ্ন।
৩. প্রেম বাড়তেই থাকে : সম্পর্কের শুরুতে যে চরম উত্তেজনা থাকে, তা সময়ের সঙ্গে হারাতে থাকে। সাধারণত বেশিরভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এমনটাই শোনা যায়। তবে সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে হয় ঠিক এর উল্টোটা। পুরনো চাল ভাতে বাড়ার মতো। প্রত্যেকের মধ্যেই কোনো না কোনো ঘাটতি থাকে। তা শুধুমাত্র মেনে নিয়েই নয়, তাকে সানন্দে গ্রহণ করে এগিয়ে যাবেন আপনার সঙ্গিনী।
৪. এক সঙ্গে দারুণ মজা : ছোটখাটো কারণ হোক বা চূড়ান্ত মজাদার কোনো ঘটনা, হাসার কোনো সুযোগ আপনারা হাতছাড়া করেন না। বাড়ির বৈঠকখানায় হোক বা কোনো পার্কে বা দক্ষিণ ফ্রান্সের সৌন্দর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আপনারা একই রকম থাকেন। সঙ্গিনীর সামনে মনের কোনো কথা বলতে দ্বিধা করেন না। যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ আপনি। এমনটা হলে বুঝবেন ইনি আপনার আদর্শ সঙ্গিনী।
৫. শুধু তোমাকে চাই : সকাল থেকে রাত অবধি সবকিছুতেই তাকেই চাইবেন। অনেক সময় বন্ধুদের কাছে শুনবেন যে তারা একলা কী সুখেই না রয়েছেন। খুব কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে যতটা স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন, সঙ্গিনীর সঙ্গেও তাই। তা হলে দেরি করবেন না তাকে বলতে।
৬. দারুণ আকর্ষিত হন : আপনার সঙ্গিনী শাড়ি পড়ুন বা গাউন, সব সময় তাকে দেখে আকর্ষণ অনুভব করেন। এটা অন্যতম একটা সংকেত। একটা কথা মনে রাখতে হবে, প্রেম কখনও শরীর ছাড়া হয় না। আপনার অস্তিত্ব যদি আপনার শরীর ছাড়া না হয় তবে প্রেমের ক্ষেত্রে তা হবে কী করে!
৭. আপনার সবচেয়ে বড় সমর্থক : আপনি যাই করুন, সব সময় আপনাকে উৎসাহ দেবেন সঠিক পার্টনার। যত কঠিন সময় হোক, আপনার পাশ থেকে কখনও সরে যাবেন না তিনি। শত কঠিন পরিস্থিতিতে একে অপরকে মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতাই সম্পর্ককে স্থায়ীত্ব দেয়। এক সঙ্গে চাকরি করা বা ব্যস্ততায় যেমন মানিয়ে নেবেন, তেমন ঘরকন্যার কাজেও সঙ্গে থাকবেন। এই গুণগুলো অবশ্যই নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে প্রয়োজন। যদি এমনটা হয় তবে তিনিই আপনার আদর্শ সঙ্গী বা সঙ্গিনী। সূত্র : এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।