জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর মতিঝিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলায় তার স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলিকে র্যাব কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ডলিকে গতকাল (সোমবার) দিবাগত রাত ১০টার দিকে টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাত ১২টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দীন একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কিছু বিষয় জানার জন্য তাকে (ডলি) ডেকেছিলাম।’
এ বিষয়ে ডলি মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, গত রাত ১০টার দিকে র্যাব আমাকে তাদের টিকাটুলি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। আমি কোনো তথ্য জানি কি না, কাউকে সন্দেহ করি কি না এবং টিপুর সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল কি না- এসব তারা আমার কাছে ডিটেইলস (বিস্তারিত) জানতে চায়।
ডলি জানান, এর আগে সাংবাদিক সম্মেলন করার আগে ডিবি ডেকে নিয়েছিল। যেহেতু আমি তার ওয়াইফ, আমার সঙ্গে কোনো কথা শেয়ার করেছিল কি না, কাউকে সন্দেহ হয় কি না- ইত্যাদি জানতে চায়। এ ছাড়া ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা জানতে চেয়েছে।
গত ২৪ মার্চ রাতে নিজস্ব মাইক্রোবাসে বাসায় ফেরার সময় শাজাহানপুরে ব্যস্ততম রাস্তায় আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় ঘাতকের তপ্ত বুলেটে নিভে যায় পথচারী রিকশারোহী বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতির জীবনপ্রদীপ। গুলিতে আহত হন মাইক্রোবাসচালক মনির। তবে মাইক্রোবাসের পেছনের সিটে বসা টিপুর দুই বন্ধু আবুল কালাম ও মিজানুর রহমান মিরাজ অক্ষত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে যান। এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ব্যস্ত রাস্তায় অস্ত্র উঁচিয়ে টিপুকে এলোপাতাড়ি গুলি করা ভাড়াটে শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসাবে সন্দেহভাজন ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ও তার সহযোগী নাসির নিখোঁজ রয়েছেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন এই দুজনই ঘটনার পরদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরেকটি ইউনিটের হেফাজতে রয়েছেন। যে ইউনিটটি হত্যাকাণ্ডের পরই ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে ছায়া তদন্তে নামে। তদন্তকারীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ওমর ফারুক ও নাসিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। কিন্তু ‘টেকনিক্যাল’ কারণে ওমর ফারুক ও নাসিরকে তারা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছেন না। এতে তদন্তকাজে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।