জুমবাংলা ডেস্ক : আলোচিত-সমালোচিত দম্পতি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এই তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিংবডির নির্বাচনে প্রাথমিক শাখায় অভিভাবক প্রতিনিধি পদে নির্বাচন করছেন। তিনি খন্দকার মুশতাককে ঠেকাতে নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খন্দকার মুশতাক মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য ছিলেন। তিশাকাণ্ডে সৃষ্টি হওয়া তুমুল বিতর্কের মুখে তিনি ঐ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আর তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম এবারই নির্বাচন করছেন। তার ব্যালট নং ১৯। তিনি মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়েও অভিভাবকদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন।
শুরু থেকেই এ বিয়ে মেনে নেননি তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। মুশতাকের বিরুদ্ধে মামলা থেকে শুরু করে নানাভাবে এ বিয়ের প্রতিবাদ চালিয়ে আসছেন তিনি।
নির্বাচন করার বিষয়ে জানতে যখন সাইফুল ইসলামকে ফোন করা হয়, তখন তিনি প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন ও শুক্রবারের নির্বাচন নিয়ে খুব ব্যস্ত আছেন বলে জানান।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আইডিয়ালে আমার মেয়ে জীবন্ত লাশে পরিণত হয়েছে। সেখানে যেন মুশতাকের মতো আর কোনো লোকের জন্ম না হয়, তাদের মতো লোকদের ঠেকাতে আমার এই নির্বাচনে আসা।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে নিউজ হয়েছে- এই মুশতাকরা বহু ছাত্রীকে যৌননির্যাতন করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কার্যত কোনো প্রতিবাদ হয়নি। আমার মনে হয়, এ প্রতিবাদ না করা মানেই মুশতাককে মৌন সমর্থন করা। আগামীতে যদি এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি আবারও সৃষ্টি হয়, তবে আমি অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। এ লক্ষ্যেই আমি নির্বাচন করছি।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে মুশতাকের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলা করেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। মামলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। সে অনুযায়ী মামলাটি নথিভুক্ত করে থানা পুলিশ।
ঐ মামলায় আত্মসমর্পণ করে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পান মুশতাক। পরে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পান অধ্যক্ষ ফাওজিয়া। গত ১৭ আগস্ট মুশতাককে আগাম জামিন দেন উচ্চ আদালত। পরে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের শর্ত অনুযায়ী, মুশতাক ঐ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এবারের অমর একুশে বইমেলায় মুশতাক-তিশা দম্পতির দুটি বই প্রকাশ পেলে আলোচনা-সমালোচনা আরো বেড়ে যায়। তিশা-মুশতাক দম্পতিকে এক প্রকার তাড়া করে বইমেলাছাড়া করেন পাঠক, ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। এ নিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তারা। দ্বারস্থ হন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশেরও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।