জুমবাংলা ডেস্ক : উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ২৬ সেন্টিমিটার।
এদিকে, নদীর পানি নিম্নাঞ্চলের অনেক বসত বাড়িতে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ, ঝাড়সিংহেশ্বর, খগারচর, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, ডাউয়াবাড়ীসহ তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ক্ষেত পানিতে ডুবে যাওয়ায় ফসল নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুর খাবার নিওয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধি ফলে বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও ছোট বাঁচ্চাদের নিয়ে বিপদে আছি।’
খালিশ চাপানী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, ‘নদীর পানি বেড়েছে অনেক। ঘরে পানি ঢুকে থাকার মতো অবস্থা নেই। রাতে ঘুমাতে পারিনি।’ একই এলাকার মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমাদের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা ও ধান ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে।’
ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছি। পানিবন্দীদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে কাজ করছি আমরা।’ ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘পানিবন্দী মানুষদের নৌকায় নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চলের ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, ‘তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে কাজ করছে।’ নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যা কবলিতদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।