সাইফুল ইসলাম : মানিকগঞ্জে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে গ্যাস না পেলেও নিয়মিত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর গ্রাহকদের। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পরও গ্যাস না পেয়ে নিয়মিত বিল পরিশোধের বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পেতে বাধ্য হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন অনেক গ্রাহক।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জে প্রায় বারো হাজার আবাসিক গ্রাহক ছিল তিতাসের। গ্যাস না পাওয়া এবং নিয়মিত বিল পরিশোধের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে ইতোমধ্যে প্রায় চার হাজার গ্রাহক নিজেদের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার দক্ষিণ সেওতা এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, তিতাসের মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি ব্যবস্থাপক আকাশ বাড়ৈ এর নেতৃত্বে একটি দল গ্রাহকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন।
আকাশ বাড়ৈ জানান, অনেক গ্রাহক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আবেদন জানিয়েছেন। গ্রাহকদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।
বিভিন্ন গ্রাহকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস না পেলেও প্রতি মাসেই বিল পরিশোধ করতে হতো। বারবার আন্দোলন-বিক্ষোভ এবং বহু অপেক্ষার পরও গ্যাস সংকট সমস্যার সমাধান হয়নি। অথচ প্রতিমাসেই বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তিতাস কোম্পানী। একাধিকবার গ্যাস বিল বন্ধ করার আবেদন জানানোর পরও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। ফলে বাধ্য হয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের গ্রাহক মো. রিপন আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আমরা একটুও গ্যাস পাইনা। তবুও মাসে মাসে বিল দিতে হয়। তাই বাধ্য হয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আবেদন করেছিলাম। আজ গ্যাস অফিসের লোকজন এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আজগর আলী বলেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও গ্রাহকরা গ্যাস না পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আবেদন করছে। গ্রাহকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে জেলায় প্রায় ৪ হাজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অনেক গ্রাহক বিল নেয়া বন্ধ করতে আবেদন করেছিল। কিন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া বিল বন্ধ রাখার সুযোগ নেই।
পরবর্তী সময়ে গ্যাসের সংকট কাটলে এবং সমস্যার সমাধান হলে এসব পুরোনো গ্রাহকদের পুনরায় গ্যাস সংযোগ দেয়া উচিৎ বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে “গ্যাস নেই, তবুও মাসিক বিল আড়াই কোটি টাকা: মানিকগঞ্জে গ্রাহকের তীব্র ভোগান্তি” শিরোনামে জুমবাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।