জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে প্রতি লিটার অকটেন বিক্রি করে ২৫ টাকা লাভ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। যেটা আগে ৮৯ টাকায় বিক্রি হতো। বুধবার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।
তবে অকটেনে লাভের মুখ দেখলেও প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ডলার-সংকট ও বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এখন ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ ও অকটেন ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন দামে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা থেকে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ১৬ এবং অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
দেশে জ্বালানি তেলের মজুতের হিসাব দিয়ে বিপিসি প্রধান বলেন, বর্তমানে আমাদের ৩০ দিনের ডিজেল, ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রোল ও ৩২ দিনের জেট ফুয়েল মজুত রয়েছে।
গত বছরে ৪৭ হাজার কোটি টাকা বিপিসি লাভ করলেও কেন কয়েক মাসের লোকসানের মুখে দাম বাড়ানো হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুনতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকার মতো। তার মধ্যে সরকার ভর্তুকি বাবদ ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার মতো বিপিসিকে দিয়েছিল। পরে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল যা আমরা পরে মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করি।
বিপিসি চেয়ারম্যান দাবি করেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত লোকসান ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।