লাইফস্টাইল ডেস্ক : সফল মানুষদের এবং যারা জীবনে এগিয়ে যেতে পারেন না তাদের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। সেই পার্থক্য হলো তাদের অভ্যাসে, বিশেষ করে সকালের সময় তাদের অভ্যাস কী রকম।
মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী, কিছু সকালের অভ্যাস আপনাকে সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারে বা আপনাকে গড়পড়তা জীবনে আটকে রাখতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা দুর্বল মানুষের ৭টি অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করব, যারা কখনোই জীবনেও এগিয়ে যেতে পারে না।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এরকম সাতটি অভ্যাসের বিষয়ে-
১. স্নুজ বাটন চাপা: আমরা অনেকেই এই অভ্যাসে অভ্যস্ত। অ্যালার্ম বেজে ওঠে, কিন্তু আপনি কিছুক্ষণ আরাম করতে চান, তাই স্নুজ বাটন চাপেন। তবে মনোবিজ্ঞান মতে, এই অভ্যাস আসলে আপনার জীবনযাত্রার অগ্রগতি থামিয়ে দেয়। দিনের শুরুটা একটু দেরিতে করা কোনো ক্ষতি না মনে হলেও, এটা হলো দায়িত্ব এড়ানোর একটি চিহ্ন।
কম মানের মানুষরা কাজ পেছায়, তাদের ঘুম থেকে ওঠার সময়ও পেছায়। এটা মর্নিং পারসন হওয়ার ব্যাপার নয়, বরং দিনের সামনে এসে দাঁড়ানোর ব্যাপার। পুনরায় স্নুজ চাপা নিজের প্রতি আত্মসিদ্ধি হতে পারে। আপনি দিনের শুরুটা ইতিবাচকভাবে শুরু করার জন্য মূল্যবান সকালটা হারাচ্ছেন। যদি আপনি স্নুজ করার অভ্যাসে অভ্যস্ত হন, তবে এই অভ্যাসটি পুনঃবিবেচনা করার সময় এসেছে। মনে রাখবেন, প্রতিটি সফল দিন একটি সক্রিয় সকালে শুরু হয়।
২. প্রাতঃরাশ বাদ দেওয়া: অনেক মানুষই সকালে প্রাতঃরাশকে গুরুত্ব দেন না। তারা মনে করেন “পরে কিছু খেয়ে নেব”। কিন্তু মনোবিজ্ঞান বলছে, প্রাতঃরাশ বাদ দেওয়া আপনার উৎপাদনশীলতা এবং মনোযোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যারা কম মানের জীবনযাপন করেন, তারা প্রাতঃরাশে একদম সময় দিতে চান না।
৩. শারীরিক কার্যকলাপ অবহেলা করা: সকালে শারীরিক কার্যকলাপ না করাটা দুর্বল মানুষের একটি সাধারণ অভ্যাস। তারা শারীরিক কসরত করার বদলে, নিজেদের বসে থাকার অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু সকালবেলা ১০ মিনিটের সহজ ব্যায়ামও মনোযোগ এবং মুড উন্নত করতে সাহায্য করে।
৪. ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্তি: সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নেওয়া একটি অভ্যাস যা প্রায় অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। খবর দেখতে, সোশ্যাল মিডিয়া চেক করতে গিয়ে দিনের শুরুটা অনলাইনে চলে যায়, কিন্তু এটা আপনার মনোযোগ এবং প্রোডাক্টিভিটি নষ্ট করে। এটি মানসিক শান্তি এবং ধৈর্য্য কমিয়ে দেয়।
৫. কৃতজ্ঞতা অভ্যাস না করা: অনেক মানুষই সকালে তাদের কাজের তালিকা নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করেন, যা তাদের চাপ সৃষ্টি করে। তারা কৃতজ্ঞতার অনুভূতি অভ্যাসে নিয়ে আসেন না। তবে কৃতজ্ঞতা জানানো, ভালো কিছু সম্পর্কে ভাবনা এবং তার প্রশংসা করা জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৬. সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা: দুর্বল মানুষেরা প্রাকৃতিক সূর্যালোক থেকে দূরে থাকেন, যার ফলে তাদের শরীরের ঘড়ি ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। সূর্যালোকের অভাবের কারণে তাদের মুড এবং শক্তির স্তর কম থাকে।
৭. অটোপাইলট মোডে জীবন কাটানো: সবচেয়ে বড় অভ্যাস যা দুর্বল মানুষরা প্রায়শই করে থাকে তা হলো, সকালের শুরুতে তাদের জীবন অটোপাইলট মোডে চলে যায়। তারা প্রতিদিন একইভাবে জীবন কাটান এবং সচেতনভাবে তাদের অভ্যাস বা সিদ্ধান্তগুলো যাচাই করেন না। এই অভ্যাস পরিবর্তন করা জীবনকে সচেতনভাবে আকার দিতে সাহায্য করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।