লাইফস্টাইল ডেস্ক : ইভ টিজিং! আমাদের সমাজের খুবই পরিচিত একটি শব্দ। বিশেষ করে নারীদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। আজ নারী উত্যক্তকরণ প্রতিরোধ বা ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস। ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর ১৩ জুন এই দিবসটি পালন করা হয়।
ইভটিজিংয়ের শিকার মূলত নারীরাই। জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে নারীরা শিকার হয়েছেন ইভ টিজিং নামক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার। সেসব ঘটনা দেখা যায় খবরের পাতায় ও টিভির পর্দায়। তাই নারীর সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৩ জুনকে ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতি বছর দিবসটি জাতীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে। তাই আজ সরকার ও বিভিন্ন সংগঠন ইভ টিজিং রোধে নিয়েছেন নানা ধরনের কর্মসূচি।
জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং যৌন নিপীড়নের মতো ভয়াবহ ব্যাধি থেকে নারীসমাজকে রক্ষা করতে ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ইভ টিজিং প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ১৩ জুনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘ইভ টিজিং প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। তখন থেকে নানা কার্যক্রমে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
নারী, মেয়েশিশু, কিশোরী এবং তরুণীদের উত্ত্যক্ত করার জন্য বখাটেদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়।
দেশে বিভিন্ন সময় নারী ও কিশোরীদের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রেও উত্ত্যক্তের শিকার হতে হচ্ছে। উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে অনেক মেয়ের। অনেকে বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে দমন করা যাবে না বখাটেদের। ইভ টিজিং প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেমিনার আয়োজন করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।