জুমবাংলা ডেস্ক : আজ ১৬ জুলাই, বিশ্ব সাপ দিবস। সাপ দিবসের উদ্দেশ্যই হলো সাপ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রচলিত ধারণা বৈজ্ঞানিক সত্যের মাধ্যমে ভেঙে সহাবস্থানকে উৎসাহিত করা। প্রতিবছর ১৬ জুলাই এ দিবসটি পালিত হয়।
সাপ প্রকৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরীসৃপ। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের অহেতুক ভীতি ও কুসংস্কারের কারণে মারা পড়ে। প্রকৃতিতে সাপের ভূমিকা অপরিহার্য।
দেশে সাপ রক্ষায় নিয়োজিত অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের প্রচারণা কার্যনির্বাহী বাপ্পী খান জানান, সাপ শিকারি প্রাণী হিসেবে খাদ্যশৃঙ্খলে ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া ক্ষতিকর রোডেন্টজাতীয় প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণে ফসল রক্ষা করে। প্রাণীবাহিত সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমায়।
অন্যদিকে সাপের বিষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়। এ ছাড়া দেশে বৈধ উপায়ে সাপের খামার তৈরির অনুমতি না থাকায় বৈধ উপায়ে সাপের বিষ রফতানিরও সুযোগ নেই। এ কারণে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার সাপের বিষ পাচার হচ্ছে দেশের বাইরে। বাংলাদেশসহ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ হচ্ছে কিং কোবরা। এর বিষ রসায়ন গবেষণাগারে একটি মূল্যবান উপাদান। কোবরার বিষ অনেক রোগের প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণাগারে বিক্রিয়ার প্রভাবক ও অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
তবে মানবজীবনে সাপের অনেক অবদান থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ সাপকে ভয় পায়। সাপ দেখলেই মেরে ফেলে। যদিও বিষধর সাপের সংখ্যা খুবই কম। কাজেই সাপকে ভয় না পেয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।