Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home তোফাজ্জলের ভবঘুরে জীবন বর্বরতায় শেষ
    জাতীয়

    তোফাজ্জলের ভবঘুরে জীবন বর্বরতায় শেষ

    September 20, 20248 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : উশকোখুশকো চুল, গলায় ঝুলছে তাবিজ। উদোম শরীরে সামনে ভাতের থালা। হাত ধুয়ে কয়েক মুঠো মুখেও নিলেন পঁয়ত্রিশ পেরোনো তোফাজ্জল হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক (এফএইচ) মুসলিম হলের ক্যান্টিনে গত বুধবার রাত ৯টার দিকে এ যুবককে ঘিরে চলছিল শিক্ষার্থীদের হাসিঠাট্টা, মশকরা।

    Tofajjal

    ছাত্রদের কেউ তাঁর কাছে জানতে চায়, ‘খাবার কেমন?’ ভয়ার্ত তোফাজ্জলের উত্তর, ‘খুব ভালো।’ কেউ বলছিল, ‘সেলফি ল, সেলফি ল।’ একজন জানতে চান, ‘আর কিছু লাগব?’ মাথা নেড়ে ‘না’ বলছিলেন তোফাজ্জল। কে জানত– ওটা তাঁর শেষ খাবার!

    মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে বুধবার রাতে প্রথম দফা তাঁকে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর ক্যান্টিনে নেওয়া হয় খাওয়াতে। এরপর তাঁর ওপর নেমে আসে বিভীষিকা। ২৫ থেকে ৩০ শিক্ষার্থী দল বেঁধে তোফাজ্জলকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। স্টাম্প দিয়ে পিষে দেওয়া হয় হাতের আঙুল। বেশুমার মারে তাঁর শরীর থেকে ঝরতে থাকে রক্ত। রক্তভেজা শরীরে তাঁকে নাচতে নির্দেশ দেয় শিক্ষার্থীরা। এমন মর্মন্তুদ ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তোফাজ্জলের কষ্টমাখা জীবন। তাঁর ওপর নির্মমতার খণ্ড খণ্ড ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।

    এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অজ্ঞাত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে।

    তোফাজ্জলের পরিচিতজন ও প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানা যায়, তিনি ছিলেন মেধাবী। তবে প্রেমবিষয়ক ঘটনায় মানসিক ভারসাম্য হারান। এর আগে তাঁর মা-বাবা মারা যান। গত বছর একমাত্র বড় ভাই মারা গেলে তিনি একা হয়ে পড়েন।

    তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তোফাজ্জল ছিলেন ছোট। একসময় তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন।

    প্রায়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দেখা যেত তাঁকে। নানাজনের কাছ থেকে খাবার চেয়ে নিতেন। আবার অনেক সময় টাকাও চাইতেন। অধিকাংশ সময় রাত কাটাতেন ফুটপাতে।

    তোফাজ্জলের এমন মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী শরীফা আক্তার বলেন, ‘মানসিক সমস্যা থাকায় সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তাই বলে তাকে হত্যা করতে হবে? আমরা এই হত্যার বিচার চাই।’

    তোফাজ্জল হত্যার বিচার চান তাঁর চাচা ফজলুল হকও। ঢামেক মর্গে গিয়ে দেখা গেল কান্নায় ভেঙে পড়েন তোফাজ্জলের মামাতো বোন আসমা আক্তার তানিয়া। তিনি বলেন, ফুফুর পরিবারে ওরা দুই ভাই ছাড়া আর কেউ ছিল না। রাতে শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে বেধম মারধর করার সময় আমার বাবার (ওর মামা) নম্বরে এক শিক্ষার্থী ফোন করে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেন। তোফাজ্জল কোনো অপরাধ করলে তাকে থানায় দিয়ে দিতে বলেন বাবা। এর কিছু সময় পর আরেকটি নম্বর থেকে তাঁর ভাবির কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

    তানিয়া বলেন, বরিশাল বিএম কলেজ থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর তোফাজ্জল মানসিক সমস্যার কারণে নতুন জীবন শুরু করতে পারেনি। ২০১৫ সালে ওর মা বিউটি বেগমের মৃত্যু হয়। এর আগে ওর বাবা আবদুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। সর্বশেষ গত বছর তোফাজ্জলের বড় ভাই পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির হোসেন ক্যান্সারে মারা যান।

    মারধর করার বিষয়টি জানতে পেরে ওই নম্বরে ফোন করে তোফাজ্জলের মানসিক অসুস্থতার কথাও বলি। কিন্তু ওরা বলে, এত ফোন নম্বর মনে রাখতে পারে, সে কীসের পাগল! পরিবারের এমন পরিস্থিতিতে কেউ সুস্থ থাকতে পারে– আপনারাই বলেন? তোফাজ্জল তাদের মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। তাহলে পুলিশে দিয়ে দিতে পারত, তা না করে আমার ভাইকে এভাবে মেরে ফেলল।

    ওড়নায় মুখ লুকিয়ে তানিয়া বলেন, তোফাজ্জল টিএসসি ও হাকিম চত্বর এলাকায় ঘোরাফেরা করত। যে যা দিত সেটাই খেত। হয়তো রাতে অনুষ্ঠান দেখে ওখানে খেতে গেছে। কিন্তু কত নিষ্ঠুর হলে একজনকে ভাত খাওয়ানোর পর পিটিয়ে মেরে ফেলে? তোরা মেরেই যখন ফেলবি, তখন ভাত কেন খাওয়াইলি? আমরা এ ঘটনায় হত্যা মামলা করব। এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

    ঘটনার যেভাবে সূত্রপাত

    ‘স্বাধীনতা ২.০’ উপলক্ষে ফজলুল হক মুসলিম হলে কয়েক দিন ধরে স্পোর্টস টুর্নামেন্ট চলছিল। বুধবার সকালে ক্রিকেট খেলা চলাকালে ছয়টি ফোন চুরি হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়। রাতে ফুটবল খেলা চলছিল হলের মাঠে। রাত পৌনে ৮টার দিকে তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে এফএইচ হলের মূল ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে যায় ২৫ থেকে ৩০ শিক্ষার্থী। সিসিটিভি ফুটেজে তখন সময় ৭টা ৪৭ মিনিট। মূল ভবনে ঢোকার গেটের পাশেই অতিথি কক্ষ। সেখানে প্রথম দফা তাঁকে মারধর করা হয়।

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলের এক ছাত্র বলেন, তাঁকে চড়-থাপ্পড়ের পাশাপাশি স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানো হয়। কিছুক্ষণ পর হলের এক হাউস টিউটর সেখানে গিয়ে মারধর করতে নিষেধ করেন। শিক্ষার্থীরা তখন মারবে না জানিয়ে তোফাজ্জলকে ক্যান্টিনে খাবার খাওয়াতে নিয়ে যায়। মূল ভবন থেকে বের হয়ে একটু সামনেই হলের ক্যান্টিন। তখন রাত প্রায় ৯টা। ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ানোর যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে তাতে দেখা যায়, ‘কয়েকজন জিজ্ঞেস করে খাবার কেমন? তখন তোফাজ্জল বলেন খাবার ভালো।’

    ক্যান্টিনে খাবার খাইয়ে তাঁকে নেওয়া হয় এক্সটেনশন ভবনের অতিথি কক্ষে। সেখানে তাঁকে দ্বিতীয় দফা মারধর করে ফের মূল ভবনের অতিথি কক্ষে নেওয়া হয়।

    প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করে হল ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মাসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোত্তাকিন সাকিন। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে জালাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয় ছিল।

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, চোর ধরা পড়েছে এমন খবর পেয়ে এক্সটেনশন ভবনে গিয়ে দেখি, তাঁকে পেটানো হচ্ছে। তারা জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন তোফাজ্জলকে চোখ বন্ধ করে মেরেছে। এমনকি মারতে মারতে তোফাজ্জল পড়ে যান। পরে তোফাজ্জলকে পানি খাওয়ানো হলে তিনি একটু স্বাভাবিক হয়ে উঠে বসেন। এরপর আবার পেটানো হয়। এ সময় ফিরোজ বেশি মেরেছে। এরপর আসে জালাল আহমেদ। জালাল বলতে থাকে, ‘মার, ইচ্ছামতো মার; মাইরা ফেলিস না একবারে’। এ সময় গ্যাসলাইট দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সুমন এসে তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, পরিচিত কয়েকজনের ফোন নম্বর বলে তোফাজ্জল। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অপর পাশ থেকে ছাত্রদের বলা হয়, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে ফোন নম্বর মুখস্থ বলতে পারায় শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বিশ্বাস করে না। তারা তাদের মোবাইল ফেরত চায়, একই সঙ্গে চলতে থাকে মারধর। একপর্যায়ে অতিথি কক্ষে আবাসিক শিক্ষকরা আসেন। শিক্ষকরা থাকলেও তাদের কথা শোনেননি অভিযুক্তরা। এর মধ্যে মারধরে তোফাজ্জলের পা থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে। পরে তাঁর পায়ে লাল কাপড় বেঁধে দেওয়া হয়।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, তোফাজ্জলের হাতের ওপর স্টাম্প রেখে জালালসহ আরেকজন পা দিয়ে চাপ দিতে থাকে। তবে প্রায় অচেতন তোফাজ্জল কমই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন। এর পর তাঁর বিশেষ অঙ্গেও আঘাত করা হয়।

    আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক বাগ্‌বিতণ্ডার পর কয়েক শিক্ষার্থীসহ তোফাজ্জলকে প্রক্টরিয়াল টিমের গাড়িতে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজের সময় অনুযায়ী তখন রাত ১০টা ৪৭ মিনিট।

    শাহবাগ থানা থেকে তোফাজ্জলকে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঢামেকের মৃত্যু সনদে ১২টা ৪৫ মিনিট মৃত্যু রেকর্ড দেখানো হয়েছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের এক সদস্য বলেন, হল থেকে খবর পাওয়ার পর আমাদের বিকেলের টিম রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সেখানে যায়। তারা জানতে পেরেছে, ৭টা-৮টার দিকে সেই লোকটাকে শিক্ষার্থীরা আটক করে। বিকেল টিমের ডিউটি শেষ হওয়ার পর আমরা রাতের টিম রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে হলটির গেস্টরুমে যাই। গিয়ে দেখি, লোকটা মার খেয়ে সেখানে পড়ে আছে।

    এফএইচ হলের দারোয়ানের ভাষ্য

    হলের অতিথিকক্ষের সামনে দায়িত্বে থাকা এক দারোয়ান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি রাত ১০টার দিকে ডিউটিতে আসি। তখন দেখি গেস্টরুমের বাইরে হাউস টিউটররা দাঁড়িয়ে আছেন। আমার আগে দায়িত্বে থাকা গেটম্যানকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ভেতরে চোর ধরা পড়ছে। তবে সে সময় ভেতরে কী হচ্ছে, সেটা আমি দেখিনি।

    তিনি বলেন, এর ১০-১৫ মিনিট পর ভেতর থেকে চিৎকার এলে হাউস টিউটররা আমাকে বলেন, দেখেন তো গিয়ে কী হচ্ছে। আমি গিয়ে দেখি, ওই লোকটাকে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হচ্ছে। তবে আমি যাওয়ার পর আর মারতে দেখিনি। পরে হাউস টিউটর, মোবাইল টিম এবং কয়েক শিক্ষার্থী লোকটাকে নিয়ে যান।
    তিনি বলেন, এর পর রাতে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরলে তাদের কথাবার্তায় বুঝেছি– লোকটা মারা গেছে। তখন এই গেস্টরুমের লেগে থাকা রক্ত তারা মুছে ফেলার প্রস্তাব দিলে আমি অপারগতা প্রকাশ করি।

    অভিযুক্তদের ভাষ্য

    ঘটনার মূল অভিযুক্ত জালাল আহমেদ মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করে। সে বলে, রাতে হলে এসে শুনি– চোর ধরা পড়েছে। আমি গিয়ে জুনিয়রদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। আমি কিছু করিনি। ছাত্রলীগে এক সময় পদ থাকায় আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

    পুলিশ হেফাজতে ছয়জন

    এফএইচ হলের প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ছয় শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানায় দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করে যাব। পুলিশ হেফাজতে রয়েছে জালাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সুমন, সাজ্জাদ আবু সাইদ, মোত্তাকিন সাকীন, ওয়াজিবুল আলম ও আহসান উল্লাহ।

    হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

    এদিকে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। পরে তাদেরকে সময় বাড়িয়ে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

    সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য

    রাতে তোফাজ্জলের মামা ও ভাবির কাছে টাকা চাওয়া একটি ফোন নম্বরে সকাল ৭টা ২২ মিনিটে ফোন করেন তোফাজ্জলের চাচাতো ভাই তানভীর হোসেন। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মেহেদী নামে এক যুবক ফোন ধরেন। ঘটনা জানতে চান তানভীর। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, বন্ধু রোবটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান সোহাগ ফোন থেকে কল করে টাকা চেয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেন না। মেহেদী বলেন, এফএইচ হলের মূল ভবনের ২৪৩ নম্বর কক্ষে থাকেন মেহেদী। রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিউশনি শেষে হলে আসি। রাতের খাবার শেষ করে কক্ষে যাওয়ার পথে বন্ধু সোহাগের সঙ্গে গেস্টরুমের সামনে দেখা হয়। ওর মোবাইল চুরি হয়ে গেছে বলে শুনি।

    শরীরটা আমার কাছে একটা যন্ত্র : ঋতাভরী চক্রবর্তী

    নিহতের স্বজনদের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সোহাগ বলেন, আমি মেহেদীর কাছ থেকে মোবাইল নিয়েছি। কাউকে ফোন করে টাকা চাইনি। এ ছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় জীবন তোফাজ্জল তোফাজ্জলের বর্বরতায় ভবঘুরে! শেষ!
    Related Posts
    Shocibaloy

    ফের আন্দোলনে নামছেন কর্মচারীরা, সচিবালয়ে কাল গণজমায়েত

    June 15, 2025

    ৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ইসলামী ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা

    June 15, 2025
    Advisor

    চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনে তেলের বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাব: জ্বালানি উপদেষ্টা

    June 15, 2025
    সর্বশেষ খবর
    তেজস্বী প্রকাশ

    বিছানায় তেজস্বীর পছন্দের পজিশনের কথা জানালেন

    Fake Police

    ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ভুয়া পুলিশ সুপার আটক

    অপটিক্যাল ইলিউশনের

    আপনি কেমন মানুষ ছবিটি জুম করলে বলে দেবে

    biya

    নতুন বর সহবাসে সক্ষম কিনা পরীক্ষা দিতে হয় কনের আত্মীয়দের কাছে

    Shocibaloy

    ফের আন্দোলনে নামছেন কর্মচারীরা, সচিবালয়ে কাল গণজমায়েত

    চরম-সুখ-চাওল

    নতুন ঘাম ঝরানো ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না

    ‍Sri lanka

    বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার টেস্ট স্কোয়াডে বড় চমক

    hasan-h-mansur

    পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য: গভর্নর

    ইরান

    ইরানকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে পশ্চিমা তিন দেশ

    Iran hamla

    ইরান প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.