লাইফস্টাইল ডেস্ক : পায়খানা পাওয়া সাধারণ একটি বিষয়। আসলে আমরা খাবার খাই। সেই খাবার শরীরে যায়। তারপর সেই খাবার থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান শরীর গ্রহণ করে ফেলে। এই প্রয়োজন পূর্ণ হয়ে গেলে বাদবাকি খাবার মল হিসাবে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। এটা হল খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। এই নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। এবার দিনে ১ থেকে ২ বার অনেকেরই পায়খানা হয়। এটাও স্বাভাবিক।
তবে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। আসলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে মানুষের টেনশনে (Tension) পায়খানা (Pooping) পাচ্ছে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরুন আজ কোনও পরীক্ষা রয়েছে। মাথায় রয়েছে ভীষণ চাপ। এবার পরীক্ষার এই চাপের কারণে আপনার পায়খানা পাচ্ছে। আবার পরীক্ষার স্তর কাটিয়ে যখন আসলেন কাজের দুনিয়ায়, তখন কোনও জটিল কাজ দেখলেই আপনার পায়খানা পেতে পারে।
এবার সাধারণত বেশিরভাগ মানুষই এই বিষয়টিকে তেমন পাত্তা দেন না। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে এর পিছনেও থাকতে পারে অনেক বড় কোনও সমস্যা। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন হতে হবে।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, হ্যাঁ অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে (Gut Health) সচেতন হয়ে সমস্যার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
সমস্যার পিছনে আইবিএস
আসলে এই সমস্যার পিছনে থাকতে পারে IBS. এর পুরো কথা হল ইরিটেবল বাওয়ালে সিনড্রোম। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সঙ্গে এই রোগের একটা যোগ রয়েছে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই রোগটি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে জানালেন ডা: পাল।
কেন দুশ্চিন্তা হলেই পায়খানা পায়?
চিকিৎসকদের মতে, আসলে আমাদের দুশ্চিন্তা হলে শরীরে কিছু রাসায়নিক নির্গত হয়। এই রাসায়নিকের নাম হল নিউরোট্রান্সমিটার। এবার IBS থাকা মানুষের বৃহদন্ত্র খুবই সংবেদশীল হয়ে থাকে। তাই এই মানুষগুলির টেনশন হলেই বৃহদন্ত্রে পৌঁছে যায় সিগন্যাল। তখন পায়খানা পায়। এটাই হল কারণ।
আর কী রোগ থাকতে পারে?
তবে এক্ষেত্রে IBS ছাড়াও থাকতে পারে কোলাইটিস, ক্রনিক আমাশা ইত্যাদি রোগ। তাই প্রথমেই নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। তবে চিকিৎসক নিজের অভিজ্ঞতা ও কিছু টেস্টের মাধ্যমে রোগ ধরে ফেলেন। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।
কী কী টেস্ট দেওয়া হয়?
চিকিৎসকরা জানলেন, সাধারণত আইবিএস-এর ক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষাতেই কিছু ধরা পড়ে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে অন্য কোনও রোগ রয়েছে কিনা জানতে দেওয়া হয় কিছু টেস্ট। যেমন- স্টুল টেস্ট, পেটের কোলোনোস্কোপি ইত্যাদি। এগুলির মাধ্যমেই বোঝা যেতে পারে যে শরীরে অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা। তারপর আসবে চিকিৎসা।
চিকিৎসা ও ডায়েট
এই রোগের ক্ষেত্রে বেশি ভাবাটাই কারণ। তাই এই দুশ্চিন্তা কাটানোর কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি কিছু ওষুধ রয়েছে যা এই রোগে দারুণ কার্যকরী। তবে ওষুধের পাশাপাশি শাক, তেল, ঝাল, গমের খাবার থেকেও এই রোগীদের দূরে থাকতে হবে।
তবে আবারও বলছি, এই রোগ ফেলে রাখা উচিত হবে না। কোনও সমস্যা বুঝলেই চিকিৎসকের কাছে আসুন। তিনি ঠিক রোগ নির্ণয় করে ফেলতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।