লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান সময়ে ত্বক পরিচর্যার অন্যতম উপকারণ হল সেরাম। এমনকি ক্লেঞ্জার বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের চাইতেও বেশি উপকার পাওয়া যায় এই প্রসাধনী থেকে।
তবে ব্যবহারের নিয়ম না জানলে টাকা দিয়ে কেনা সেরাম যাবে পানিতে। এই বিষয়ে ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মার্কিন সেলিব্রেটি রূপসজ্জাকর জিনা মারি বলেন, “সেরাম ব্যবহারে কার্যকর ফল পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত চারটি বিষয়ে নজর দিতে হবে।”
ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও মৃত চামড়া দূর করতে এক্সফলিয়েট করতে হয়। এটা শুধু উজ্জ্বলতাই বাড়ায় না, সেরাম ঠিক মতো ত্বকের গভীরে শুষে নিতেও সাহায্য করে।
তবে মনে রাখতে প্রতিদিন এক্সফলিয়েট করার প্রয়োজন নেই। এই পদ্ধতি সপ্তাহে দুতিনবার করাই যথেষ্ট।
ভুল ধারাবাহিকতা
সেরাম থেকে পূর্ণ উপকার পেতে রুটিন ঠিকমতো পালন করতে হবে।
প্রথমে ক্লেঞ্জার ব্যবহার, তারপর প্রয়োজন হলে ত্বক এক্সফলিয়েট করতে হবে। এরপর টোন তারপর সেরাম।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে লোমকূপের ভেতরে ভালো মতো প্রবেশ করতে পারে সেরাম। আর ঠিক মতো শুষে নেওয়ার জন্য অন্তত পাঁচ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
ঘষা যাবে না
সাধারণত সেরাম ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই ক্রিমের মতো গালে ঘষতে থাকেন। এটা করলে হাত নাড়াচাড়ার বাতাসে বেশিরভাগ সেরাম নষ্ট হবে।
তাই কয়েক ফোঁটা সেরাম আঙ্গুলে নিয়ে চেপে চেপে ত্বকে লাগাতে হবে।
মারি বলেন, “প্রথম কথা ঘষা যাবে না। আর ব্যবহার করতে হবে ওপরের দিকে টেনে টেনে। আর এভাবে লাগালে সেরাম ভালো মতো ত্বকের ভেতর ঢুকতে পারে।”
একসাথে কয়েকটি সেরাম ব্যবহার
যত বেশি তত ভালো- এটা ত্বক পরিচর্যার জন্য ঠিক না। যখন একের অধিক সেরাম ব্যবহার করা হবে তখন একটার থেকে অন্যটার কার্যকারিতা হারাবে।
উদাহরণ হিসেবে মারি বলেন, “যেমন রেটিনল এবং ভিটামিন সি একসাথে ব্যবহার করলে প্রদাহ তৈরি করবে। তাই একের অধিক নয়, একটা সেরাম মাখার পর সেটাকে ঠিকমতো কাজ করতে দিতে হবে।”
আর একাধিক সেরাম ব্যবহার করতে চাইলে, বাজারে মিশ্র সেরাম পাওয়া যায় সেগুলো মাখা যেতে পারে। কারণ সেগুলো বিভিন্ন সেরাম সামঞ্জস্যপূর্ণ মিশ্রণে তৈরি। ফলে ত্বকের সমস্যা তৈরি করবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।