প্রতি ঋতুতে নতুন নতুন উপাদান নিয়ে হইচই শুরু হয়। তা সে ত্বকের পণ্য হোক বা স্বাস্থ্যের। তেমনই চর্চার আলো এখন সাদা টম্যাটোর উপরে। বিরল বটে, তবে এশিয়া ও ইউরোপে চাষ হয় সাদা টম্যাটো। এগুলিতে লাইকোপিন নামে পরিচিত লাল রঞ্জক পদার্থের অভাব রয়েছে। তাই লাল টম্যাটোর থেকে এটি আলাদা। তবে এতে এমন কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যা ত্বকের জন্য বেশ ভাল বলে মনে করা হচ্ছে। রয়েছে ফাইটোইন এবং ফাইটোফ্লুইন, যা প্রাকৃতিক এবং বর্ণহীন। কোল্ড প্রেসের মাধ্যমে এই ধরনের টম্যাটো থেকে পুষ্টি উপাদানগুলি বার করে নেওয়া হয়। এর ফলে প্রাকৃতিক গুণাবলি নষ্ট হয় না। এই বর্ণহীন ক্যারোটিনয়েড ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। পরিবেশ দূষণ, সূর্যালোকের ক্ষতিকারক রশ্মি এবং মানসিক চাপের কারণে ত্বক যে দৈনন্দিন ক্ষতির মুখোমুখি হয়, তা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
সাদা টম্যাটোর নির্যাস কেন ত্বকের যত্নের জন্য চর্চার বিষয় হয়ে উঠছে?
১. ত্বকের রং উজ্জ্বল করে ত্বকের রঙে সমতা আনে
সাদা টম্যাটোর নির্যাস ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরির প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়, যার ফলে কালো কালো ছোপ এবং ত্বকের অসম রং তৈরি করায় বাধা সৃষ্টি করে। এটি মৃদু ভাবে কাজ করে, তাই এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও নিরাপদ।
২. অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের সুরক্ষা দেয়
ত্বকের ক্ষতির জন্য বেশ কিছু কারণ দায়ী, যার মধ্যে রয়েছে দূষণ, সূর্যের আলো, স্ক্রিন এবং মানসিক চাপ। এগুলি ফ্রি র্যাডিক্যাল নামক ক্ষতিকারক অণু তৈরি করতে পারে। এর কারণেই ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে দ্রুত। সাদা টম্যাটোর নির্যাস এই ফ্রি র্যাডিক্যালগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
৩. সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায়
সানস্ক্রিনের বিকল্প নয়, তবে সাদা টম্যাটো থেকে বার করা নির্যাস সাময়িক ভাবে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে। এর বর্ণহীন ক্যারোটিনয়েডগুলি ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি শোষণ করে ত্বকের ক্ষতি রুখত্ব সাহায্য করে।
৪. নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কাজ করে
কোনও অ্যাসিড বা সিন্থেটিক ব্লিচিং এজেন্ট ছাড়াই এই নির্যাসটি জ্বালা ভাব কমায় ত্বকের উপর থেকে। সামগ্রিক ভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
৫. কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে বলে সাদা টম্যাটোর নির্যাস কোলাজেন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গৌণ হলেও বড় ভূমিকা পালন করে। এর ফলেই ত্বক টানটান, তরুণ থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।