জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর দাগনভূঞায় শীতকালীন বিষমুক্ত টমেটো চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। কম পুঁজিতে লাভজনক টমেটো চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। তাই শীত মৌসুমের মধ্যকালীন আগাম শাক-সবজির পাশাপাশি উন্নত জাতের টমেটোর চাষ বাড়ছে। উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর এলাকায় অনেকেই ৮০-৯০ দিনের টমেটো চাষে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলার পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রপুর, জগৎপুর, চাঁদপুর ও নয়ানপুর গ্রামের বিভিন্ন জমিতে দেখা যায় বিষমুক্ত টমেটোর আবাদ। ক্ষেতজুড়ে সারি সারি গাছে থোকায় থোকায় ছোট-বড় টমেটোর সমারোহ। অসংখ্য টমেটো পরিপক্ক হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই ক্ষেতে সুস্বাদু এসব টমেটো পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি শুরু হবে।
কৃষক মো. কবির আহাম্মদ বলেন, ‘২৫ থেকে ৩০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষে খরচ পড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বাম্পার ফলন হলে এখান থেকে ৪ হাজার কেজি টমেটোর উৎপাদন হতে পারে। প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি গড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি করা গেলে এ চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন। আশা করছি আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জমিতে উৎপাদিত টাটকা বিষমুক্ত টমেটো বাজারজাত শুরু হবে।’
উপ-সহকারী কৃষি ককর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, ‘শীতকালীন আগাম টমেটো চাষ করেছেন অনেক কৃষক। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের তথা শীতের প্রথমদিকের বাজারকে টার্গেট করেই মূলত এ উৎপাদন করছেন তারা। গাছে গাছে ফলনও সন্তোষজনক। তাই টমেটো বিক্রি করে ভালো আয়ের আশা করছেন কৃষকরা।’
দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত কয়েক বছরে টমেটোর বাজার সন্তোষজনক হওয়ায় চাষ বাড়ছে। আমন ধান ওঠার পর পরই শীতের আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন করা যায়। স্থানীয় বাজারে প্রথম দফায়ই বেশি দাম পেয়ে বেশ লাভবান হন কৃষকরা। লাভের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাষিদের উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের টমেটো চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।