ব্ল্যাকহোল মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। এটির অপ্রতিরোধ্য মহাকর্ষীয় টান রয়েছে। এ ধরনের জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক বিশাল সৃষ্টি পুরো মহাকাশে বিরল। একই সাথে এই অবজেক্টে বেশ শক্তিশালীও বটে। এটি এতটাই শক্তিশালী যে আলো ব্ল্যাক হোলকে অতিক্রম করে যেতে পারে না। যখন কোন বস্তুকে ব্ল্যাকহোল দ্বারা গ্রাস করা হয় এটি পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়।
অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সময় এটি কোন ট্রেস বা সংকেত রেখে যায় না। সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি খালি চোখে ব্ল্যাকহোল দেখতে পারবেন না। যদিও এটি আকারে বেশ বৃহৎ। আশেপাশের বস্তুর উপর এটি যে প্রভাব বিস্তার করে সেখান থেকে ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব ভালোভাবে বোঝা সম্ভব।
সবথেকে হালকা সাইজের ব্ল্যাকহোল সূর্যের ভরের ৩.৮ গুণ হয়ে থাকে। মহাবিশ্বের সবথেকে বড় ব্ল্যাকহোল হিসেবে TON 618 এর পরিচিত রয়েছে। এটি মহাবিশ্বে এখন পর্যন্ত দেখা সবথেকে বড় ব্ল্যাকহোল। TON 618 পাওয়া যাবে
Canes Venatici এবং Coma Berenices নক্ষত্রপুঞ্জের সংযোগস্থলের কাছে।
নাসা জানিয়েছে ,যে সূর্যের থেকে এটির ভর ৬৬ বিলিয়ন বেশি হবে। এটি পৃথিবী থেকে ১৮.২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ থেকে দূরে অবস্থিত। এই অবজেক্টটি কোয়াসারকে অত্যাধিক পরিমাণে এনার্জি দেওয়ার জন্য দায়ী।
কোয়াসারকে বলা হয় মহাবিশ্বের সবথেকে আলোকিত অবজেক্টের মধ্যে একটি। কোয়াসার মূলত সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল যা সক্রিয়ভাবে অনেক পদার্থ গ্রাস করে ফেলে। একাধিক ব্ল্যাকহোল একসাথে একত্রিত হওয়ার পর তা বিশাল আকার ধারণ করে।
পরবর্তী সময়ে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল সক্রিয়ভাবে অনেক পদার্থ গ্রাস করে। ব্ল্যাকহোল থেকে কোন আলো নিঃসৃত হয় না বলে তা কার্যকরভাবে টেলিস্কোপে ধরা পড়ো না। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অসংখ্য নক্ষত্রের কক্ষপথ পর্যবেক্ষণ করে জানতে পেরেছেন যে, এখানে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের উপস্থিতি রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।