টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামের আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ আরেকজন ফায়ার ফাইটার মারা গেছেন।

টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ নুরুল হুদা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান।
দুদিন আগের ওই অগ্নি দুর্ঘটনায় এ নিয়ে দুজন ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু হল। আরো দুজন বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, “নুরুল হুদার শরীরের পোড়ার মাত্রা ছিল একশ ভাগ। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।”
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, হুদার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ। তিনি ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ চাকরিতে যোগ দেন। তার গর্ভবতী স্ত্রী, তাদের আরো দুই সন্তান রয়েছে।
গত সোমবার টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে একটি রাসায়নিকের কারখানায় আগুন নেভাতে গিয়ে চার ফায়ার ফাইটার দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শামীম আহমেদ (৪০) মঙ্গলবার বিকালে মারা যান। তার শরীরেও পোড়ার মাত্রা ছিল ১০০ শতাংশ।
বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন চিকিসাধীন আছেন ফায়ার ফাইটার জয় হাসান ও ফায়ার অফিসার জান্নাতুল নাঈম। তাদের মধ্যে জান্নাতুল নাঈমের শরীরের ৪২ শতাংশ এবং জয়ের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, টিনশেডের গুদামটি একটি পোশাক কারখানার। সোমবার বিকালে হঠাৎ সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর ভেতরে থাকা লোকজন দৌড়ে বের হয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নেভানোর কাজ শুরুর পর রাসায়নিকের এক ড্রামের বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই চারজন দগ্ধ হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।