বিনোদন ডেস্ক : একসময় বাংলা টেলিভিশনে অভিনেত্রী তানিয়া গাঙ্গুলী ছিলেন অনেক পরিচিত মুখ। আজও দর্শকরা তাকে মনে রেখেছেন ‘চোখের বালি’ ধারাবাহিকের বিনোদিনী চরিত্রটির জন্য। অবশ্য আরও অনেক ধারাবাহিকে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন তানিয়া। তিনি ছিলেন বাংলার সুন্দরী নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম। এত সুন্দরী এবং ভাল অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও কোথায় হারিয়ে গেলেন তানিয়া?
কালার্স বাংলাতে ‘মা দূর্গা’ ধারাবাহিকটি একসময় দর্শকদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই ধারাবাহিকের মা লক্ষ্মী চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তানিয়া। সেটাই ছিল অভিনয় জগতে তার প্রথম যাত্রা। অভিনয়ে আসার আগে সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকের পড়াশোনা শুরু করেছিলেন তিনি। পড়াশোনা করতে করতেই চলছিল ধারাবাহিকের শুটিং।
স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পর পুরোদস্তুর অভিনয় কেরিয়ারে মন দেন তিনি। মা লক্ষ্মীর চরিত্রের সুবাদে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ব্যাপক। সেই জনপ্রিয়তা থেকেই জি বাংলা থেকে ‘চোখের বালি’ সিরিয়ালের সুযোগ আসে তার কাছে। শিবাজী পাঁজা প্রযোজিত এই ধারাবাহিকে মহেন্দ্রর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল রোহিত সামন্তকে। রেজওয়ান রাব্বানী শেখ ছিলেন বিহারীর চরিত্রে।
তানিয়াকে বিনোদিনীর চরিত্র দিয়ে নির্মাতারা কিছু ভুল করেননি। তানিয়া সাবলীল অভিনয় বিনোদিনীর জীবনের দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তোলে ছোট পর্দায়। এই ধারাবাহিকের ব্যাপক সাফল্যের পর আর ঘুরে তাকাতে হয়নি তাকে। তিনি ‘দুগ্গা দুগ্গা’, ‘জীবন জ্যোতি’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ’ এর মত একের পর এক সিরিয়াল থেকে ডাক পেয়েছেন।
শুধু নায়িকা হিসেবে নয়, অভিনয় কেরিয়ারে খলনায়িকা হিসেবেও দাগ কেটেছেন দর্শকদের মনে। ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের শুরুতে তিনি ছিলেন দেবীর চরিত্রে। এছাড়া ‘রাজকাহিনী’, ‘অতিথি’র মত সিনেমাতেও তিনি ছিলেন সুন্দরী খল নায়িকা। তার চাহনিই অভিনয়ের অর্ধেক সম্পূর্ণ করে দেয়। চোখের অভিব্যক্তিতে তানিয়া ৮ থেকে ৮০ এর নজর কেড়েছিলেন খুব সহজেই।
তবে এত ভাল কেরিয়ারের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা সত্ত্বেও আচমকা অভিনয় ছেড়ে দেন অভিনেত্রী। আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মন্ডলকে বিয়ে করে অভিনয় থেকে দূরে সরে যান তিনি। এখন সংসারের পাশাপাশি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সোশ্যাল ওয়ার্ক নিয়ে পড়াশোনা করছেন তানিয়া। অভিনয় ছেড়ে এখন উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নপূরণ করতেই ব্যস্ত তানিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।