খেলাধুলা ডেস্ক : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন স্টিভেন স্মিথ। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। সে কারণে স্মিথের কাঁধে দায়িত্ব চাপে; কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তুলতে ব্যর্থ হন স্মিথ। ভারতের কাছে হেরে বিদায় নিতে হলো সেমিফাইনাল থেকেই।
দুবাইতে ভারতের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নেয়ার একদিন পরই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। বুধবার এ ঘোষণা দিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই ওয়ানডেতে তার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকলো।
৩৫ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার ১৭০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। রান করেছেন ৪৩.২৮ গড়ে ও ৮৬.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ৫৮০০। তার নামের পাশে রয়েছে ১২টি সেঞ্চুরি এবং ৩৫টি হাফ সেঞ্চুরি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা ১৬২ রান তার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ স্কোর। অথচ, অস্ট্রেলিয়া দলে একজন লেগ স্পিনার হিসাবে অভিষেক হয়েছিল তার। যে কারণে বোলার স্মিথের নামের পাশে উইকেট রয়েছে ২৮টি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতিতে অনুযায়ী, সেমিফাইনালে হারের পরই স্মিথ সতীর্থদের জানিয়ে দিয়েছিলেন তার অবসরের কথা। তবে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে যাবেন। বিবৃতিতে স্মিথ বলেছেন, ‘দারুণ সময় কাটালাম। প্রতিটা মিনিট উপভোগ করেছি। অসাধারণ কিছু মুহূর্ত এবং দুর্দান্ত কিছু স্মৃতি রয়েছে। দুটো বিশ্বকাপ জয় জীবনের অন্যতম স্মরণীয় স্মৃতি। সঙ্গে এ যাত্রায় পেয়েছি কিছু দারুণ সতীর্থকেও।’
স্মিথ আরও বলেন, ‘২০২৭ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করার সুযোগ চলে এসেছে। তাই বাকিদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এটাই সেরা সময়। আপাতত টেস্ট ক্রিকেটই আমার কাছে অগ্রাধিকার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এরপর শীতকালে ওয়েস্টইন্ডিজ এবং ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ। এখনও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি রয়েছে।’
হাসিনার বিচারের সাথে সরকার পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই: আমীর খসরু
২০১৫ এবং ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন স্মিথ। মাইকেল ক্লার্ক বিদায় নেয়ার পর তিনিই ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেন। পরে বল বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে অধিনায়কত্ব চলে যায় তার। এক বছর নিষিদ্ধও হন তিনি। দুই বছর পর আবার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিবেচিত হন।
স্মিথ দলকে ৬৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিতেছেন ৩২টি এবং হেরেছেন ২৮টি। স্মিথের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘আমরা স্মিথের সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি। স্মিথ আগে অনেক বারই বলেছে যে, ক্রিকেটজীবনের এই পর্বে ও প্রতিটা সিরিজ ধরে এগোতে চাইছে। আমরা সেটা বদলাতে চাই না। তাই ওর পাশেই আছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।