বিনোদন ডেস্ক : গত শুক্রবার রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড’খ্যাত ডিপজলের বড় ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ওমর সানী সবার সামনে হঠাৎ করেই জায়েদ খানকে চড় মারে। জায়েদ নাকি মৌসুমীর সঙ্গে আগে দুর্ব্যবহার করেছেন। এ জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে ওমর সানী জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন। জায়েদ খানও নাকি পিস্তল বের করে ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি দেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন কাণ্ডে অনেকেই হতবাক হয়েছেন।
যদিও জায়েদ খান বলেছেন, এটা ষড়যন্ত্র। আমাকে হেয় করার জন্য এমন সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। ওই দিন রাতে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে পিস্তল নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া আমি পিস্তল বহনও করি না। পুরো বিষয়টি ভিত্তিহীন।
এদিকে রোববার (১২ জুন) বিকেলে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওমর সানী লিখেছেন, ‘আমি ততক্ষণ নীরব থাকি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার আত্মসম্মানে আঘাত না লাগে।’
অন্যদিকে পুরো ঘটনাটিকে ভিত্তিহীন দাবি করে ডিপজল জানিয়েছেন, ‘অনেক গণ্যমান্য অতিথিদের সঙ্গে ওমর সানী ও জায়েদকে আমিই অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানিয়েছি। যদি ধরেও নিই, তাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য রয়েছে, তাহলে কি তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে এমন ঘটনা ঘটাবে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তারা তো শিল্পী, তারা জানে কোথায় কি ধরনের আচরণ করতে হয়। ফলে পুরো বিষয়টিই ভিত্তিহীন ও অসত্য। এখন কেউ কেউ যদি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এ ধরনের কথা ছড়িয়ে থাকে, তাহলে বলব তারা ভালো কাজ করেনি। এত ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে কথা বলাও তো অশোভন। আমি মনে করি, যারা এসব কথা ছড়িয়েছে, তারা চলচ্চিত্রের বদনাম করার জন্য করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছে, সেখানে অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছিল। প্রবেশের ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ছিল। প্রত্যেককেই এই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের পিস্তল বা অন্য কোনো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। কাজেই জায়েদ বা অন্য যে কেউ হোক না কেন, কারও পক্ষেই অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। যারা জায়েদ ও ওমর সানীর কথিত ঘটনা ছড়িয়েছে, তারা ভালো কাজ করেনি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।