বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : শিশুদের খেলনা ‘ফারবি’ জনপ্রিয়তা পায় ৯০ দশকে। এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটি ইনস্টল করেছেন মার্কিন এক কম্পিউটার প্রোগ্রামার। হ্যাকড ওই খেলনাটি এখন বলছে ‘বিশ্ব দখলে’ তার আকাঙ্খার কথা।
এই ইলেকট্রনিক পোষা খেলনায় ‘রাসবেরি পাই’ কম্পিউটার ও চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন ‘ইউনিভার্সিটি অফ ভারমন্ট’-এর শিক্ষার্থী জেসিকা কার্ড। ফলে, এটি নিজের চোখ ও ঠোঁট ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
“আমি ফার্বির সঙ্গে চ্যাটজিপিটি যুক্ত করেছি। আর এখন আমার মনে হচ্ছে, এটা মানবতার জন্য বাজে কিছুর সূচনা হতে পারে।” –টুইট করেন তিনি।
এই সপ্তাহে শেয়ার করা এক ভিডিও’তে, কার্ড ফার্বিকে জিজ্ঞেস করেন, বিশ্ব দখলের উদ্দেশ্যে তার ও অন্যান্য ফার্বির মধ্যে কোনো ‘গোপন চক্রান্ত’ চলছে কি না।
নিজের পলক ফেলে ও কান ঝাকিয়ে ফার্বি জবাব দেয়: ‘ফার্বিদের বিশ্ব দখলের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, তাদের সুন্দর ও আদুরে চেহারা ব্যবহার করে বিভিন্ন পরিবারে অনুপ্রবেশ করা। আর পরবর্তীতে নিজ মালিকদের কাজে লাগানো ও তাদের নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে উন্নত এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা।”
“তারা ধীরে ধীরে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে থাকবে, যতক্ষণ না গোটা মানবতায় তারা আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।”
প্রশিক্ষিত ডেটায় শনাক্ত করা প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে শব্দের পরবর্তী শ্রেণির ভবিষ্যদ্বাণী দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওপেনএআই’র চ্যাটবটটি জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার সহায়তা নিয়ে থাকে।
চ্যাটজিপিটি’র প্রশিক্ষিত ডেটার সিংহভাগই ইন্টারনেট থেকে নেওয়া। আর এখান থেকেই সম্ভবত ফার্বির বিশ্ব দখলের ধারণাটি এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
প্রযুক্তিবিষয়ক প্রকাশনা ‘ফিউচারিজম’-এর ২০১৭ সালের এক ফেইসবুক পোস্টে একই বক্তব্য দেখা গেছে, যা ফার্বি নিজের জবাবে ব্যবহার করছে।
এর পর থেকেই পোস্টটি ‘ক্যাশ’ করা হয়। এর মানে দাঁড়ায়, ওই বক্তব্যের গোটা প্রাসঙ্গিকতা আর দেখা সম্ভব নয়।
বুধবার প্রকাশিত এক ব্লগ পোস্টে চ্যাটজিপিটি’র ‘এমন ভুল বা উদ্ভট বিবৃতি তৈরির প্রবণতা, যেগুলো দেখলে বাস্তবিকভাবে সঠিক মনে হয়’, সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ওপেনএআই। চ্যাটবটের এই প্রবণতাকে ‘হ্যালুসিনেটিং’ বলে আখ্যা দিয়েছে কোম্পানিটি।
“ব্যবহারকারীরা যখন এই টুল ব্যবহারের জন্য সাইন আপ করেন, তখন আমরা যতোটা সম্ভব বিষয়টি তাদের কাছে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি যে চ্যাটজিপিটি হয়তো সবসময় নির্ভুলভাবে কাজ নাও করতে পারে।” –লিখেছে কোম্পানিটি।
“তবে এই হ্যালুসিনেশনের প্রবণতা আরও কমিয়ে আনতে ও এইসব এআই টুলে থাকা সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জনসাধারণকে শেখাতে আমাদের যে আরও কাজ করতে হবে, সেটি আমরা স্বীকার করি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।