জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ডলারের অংশ হ্রাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মীমাংসার ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশ ভারতীয় রুপিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সমঝোতার জন্য স্বাক্ষরকারী ১৯তম দেশ । শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোও ফেডারেল রিজার্ভের ঘাটতি হওয়ার কারণে ডলারের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হারের তীব্র বৃদ্ধি উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যালেন্স শীটে সমস্যা বৃদ্ধি করছে ।
তবে ডলারের দাম ওঠানামার ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের মুদ্রার মান নির্ধারণ করা হবে। কীভাবে এই প্রক্রিয়া কাজ করবে সেটি নির্ধারণের জন্য দুই দেশের ব্যাংকগুলোর চুক্তিও করতে হবে। সেজন্য রুপিতে বাণিজ্যের বিষয়টি খুব সহসাই শুরু হচ্ছে না। অন্তত ছয় মাস সময় লাগতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মার্কিন ডলারের দর ব্যাপক উর্ধ্বমুখি হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। বাড়তি দামেও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় ডলারের ওপর চাপ কমাতে সরাসরি টাকা ও রুপির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির বিষয়ে ভাবছে ঢাকা-দিল্লি।
ডলারের বহিঃপ্রবাহ রোধ করতে, ভারতের প্রতিবেশী নীতিনির্ধারকরা রুপির বাণিজ্য নিষ্পত্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানি করেছে এক হাজার ৬১৯ কোটি ডলারের। ঘাটতির পরিমাণ এক হাজার ৪১৯ কোটি ডলার।
বাণিজ্য ঘাটতি এবং বাংলাদেশের হাতে যেহেতু যথেষ্ট পরিমাণ রুপি নেই, এ কারণে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রুপিতে বাণিজ্যিক লেনদেন করা সম্ভব হবে।
অর্থাৎ ২০০ কোটি ডলারের যে রপ্তানি আয় বাংলাদেশ করছে, সে পরিমাণ বাণিজ্য ভারতীয় মুদ্রায় করার কথা ভাবা হচ্ছে। এর বেশি পণ্য রুপিতে কেনা যাবে না, কারণ রপ্তানি ছাড়া রুপি পাওয়ার সুযোগ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।