ট্রাফিকে দাঁড়ানো বরের প্রকৃত পরিচয় কী জানেন

new-bor

জুমবাংলা ডেস্ক : রাস্তায় বর বেশে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হন এক শিক্ষার্থী। তবে ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি ট্রাফিকে দাঁড়ানো ‘বর’ বেশে সে তরুণ সম্পর্কে অনেক ভুল তথ্যও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই এ শিক্ষার্থীর প্রকৃত পরিচয় জানেন না।

new-bor

সরকার পতনের পর দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশকে স্থিতিশীল করতে শিক্ষার্থীরা নিজে থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়ে তুলে নেন। যার মধ্যে অন্যতম একটি ছিল রাস্তার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা।

সারাদেশে একযোগে পুলিশ কর্মবিরতিতে গেলে ট্রাফিকের দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে রাস্তায় নামেন অসংখ্য শিক্ষার্থী। যাদের একজন ছিলেন মো শফিকুল ইসলাম। তিনি ‘বর’ বেশে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হন।

শফিকুল উত্তরা আনোয়ার গার্ডেন মডার্ন ইউনিভার্সিটিতে মেকানিকে বিএসসির শিক্ষার্থী। উত্তরাতেই বসবাস করেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে সময় সংবাদকে শিক্ষার্থী শফিকুল বলেন, আসলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা অধিকার বিজয় ছিনিয়ে নিতে পেরেছি। এ উপলক্ষ্যে আনন্দের সাথে এবং বন্ধু-বান্ধবদের আবদারের রক্ষার্থে আমি ‘বর’ বেশে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে রাস্তায় নামি।

শফিকুল আরও বলেন, তবে এ বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভুল তথ্যও ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, বিয়ের গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বরকে ৩০ মিনিটের শাস্তি হিসেবে ট্রাফিকের দায়িত্বে নামানো হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন, বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে আসা বর রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্বে নেমেছে।

প্রকৃত ঘটনা প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, শাস্তি হিসেবে নয়, বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে আসা নয়; এটা মূলত আনন্দ আর স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্যই বন্ধুদের সবার সিদ্ধান্ত ও আবদার রক্ষায় আমি এ কাজটি করি। আমি বিবাহিতও নই, বরং একজন শিক্ষার্থী।

জিয়াউলের রহস্যময় হাসি

বিয়ের পোশাক প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, ধানমন্ডির ৬ নাম্বার সিগন্যালে ‘বর’ বেশে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনের জন্য শাহবাগের একটি শপিং মল থেকে বিয়ের পোশাকটি ভাড়া নিই। একদিনই কিছু সময়ের জন্য ওই পোশাক পরেছিলাম। পরে আমার ছবি ও ভিডিও তোলার হিড়িক শুরু হলে আমি ওই পোশাক কিছুক্ষণ পরে চেন্জ করে অন্যটা পরি। আমি সর্বমোট ৫ দিন এবং ‘বর’ বেশে ১ দিন রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করি। এ কাজে দেশের মানুষ আমাকে ভালোবেসে সাপোর্ট করেছেন, তাই আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।