জুমবাংলা ডেস্ক : চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ঘিরে বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজট ও মানুষের ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবার পথে এই সময় বিপুল সংখ্যক জনগণ তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। দীর্ঘদিন অন্যায় আক্রোশের শিকার হওয়া দেশনেত্রীর প্রতি জনগণের অমূল্য এই ভালোবাসা প্রকাশের কারণে সেদিন রাস্তায় অনেক যানজট হয় এবং অনেকের জন্যে বিভিন্ন অসুবিধার কারণ হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে এজন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকাবাসী এই সাময়িক অসুবিধাকে সুনজরে দেখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশবাসী অবগত আছেন বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশবাসীর এটাও স্মরণ আছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধা বেগম জিয়া কোনো অন্যায়ের প্রতি আপস না করে দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিগত সরকারের দেওয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, কারাগারে থাকাকালীন সময়ে উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি এবং উনার পরিবার থেকে বারবার আবেদন করা স্বত্বেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পান বটে; কিন্তু শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাকে বিদেশে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ জানুয়ারি কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।