লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে সাশ্রয় মূল্যে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার অন্যতম আরামদায়ক মাধ্যম হলো রেলপথ। দূরবর্তী কোনো কাজে হোক বা কোনো ভ্রমণে মানুষ বেছে নিচ্ছেন রেল পথকে। তবে ট্রেন বুক করলে ট্রেনের যে সে কামরা নেন না। আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বেছে নেন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা। যেখানে বেশ কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে। যা অনেক যাত্রীদের কাছেই অজানা। আজকের প্রবন্ধে তেমনই এক অজানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। চলুন সেই অজানা তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
প্রসঙ্গত, দূরপাল্লার ট্রেনের বিভিন্ন ধরনের কোচ হয় যেমন জেনারেল কোচ, স্লিপার কোচ। তবে এই কোচগুলির মধ্যে আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক কোচ হলো এসি কোচ। যেখানে স্বাচ্ছন্দে ক্লান্তিহীনভাবে ভ্রমণ করা যায়। তবে এই ট্রেনের এসি কোচে বেশ কিছু প্রটোকল মানতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো এসির তাপমাত্রা। যে বিষয়টা অনেকের কাছেই অজানা। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা প্রায় সময়ই এসি কোচে দূর ভ্রমণ করেন কিন্তু তারা জানেন না ট্রেনের এসি কামরায় তাপমাত্রা কত ডিগ্রিতে থাকে। না জানলে জেনে রাখুন।
মূলত ট্রেনের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলিতে যে এসি লাগানো থাকে তা ভিন্ন টেম্পারেচারে হয় না বা ঘন ঘন পরিবর্তন করাও যায় না। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা হয়। যার ফলে কোনো কোনো যাত্রীর ঠান্ডা লাগে তো কোনো কোনো যাত্রীর আবার গরম হয়। কিন্তু যাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এইটা আবার কিছুটা কোচের উপরে নির্ভর করে।
অর্থাৎ এসি কামরায় দুটি কোচ থাকে একটি LHB AC কোচ আরেকটি নন LHB AC কোচ। এক্ষেত্রে LHB এসি কোচের তাপমাত্রা রাখা হয় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অপরদিকে তাপমাত্রা রাখা হয় ২৪ ডিগ্রি থেকে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের মধ্যে। অর্থাৎ দুটি এসি কোচেই ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে এসির তাপমাত্রা নির্ধারিত করা হয়।
আবার অপরদিকে এসি কোচ যেহেতু সর্বক্ষণ ঠান্ডা থাকে তাই ঠান্ডা বাতাসকে বারবার ঠান্ডা করার জন্য রি সার্কুলেশন মোড ব্যবহার করা হয়। এর ফলে কামরাগুলি ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে না। তবে ঠান্ডা বাতাসের পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ১২ ঘন্টা বাতাস পরিবর্তন করা হয়। এক্ষেত্রে ৮০% রি সার্কুলেশন মোডে ঠান্ডা বাতাস (Train AC Temperature) রাখা হয় এবং বাকি ২০ শতাংশ বাইরের বাতাস নেওয়া হয়। জানা হয়ে গেল এই অজানা তথ্য। যা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেও কাজে লাগে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।