জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার জংশন স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় হামাগুড়ি দিয়ে। এই রেলওয়ে স্টেশনের সরকারি-বেসরকারি টিকেট কাউন্টারে আপনি ইচ্ছে করলেই দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে পারবেন না। কাউন্টারে হয় আপনাকে বসে, না হয় শুয়ে থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
জানা যায়, আগে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের বগির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে পারতো না সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, অসুস্থ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ট্রেনে ওঠা-নামা করতে খুবই অসুবিধা হতো। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সান্তাহার জংশন স্টেশনকে আধুনিকায়ন করে। এতে প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধির হয়। ফলে ট্রেনে উঠতে বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, অসুস্থ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সুবিধা হলেও ৪ নং প্ল্যাটফর্মের সরকারি-বেসরকারি মিটার গেইজ ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে কোমর বাঁকা করে হেলে অথবা হামাগুড়ি দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীরা পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে।
রাকিব হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আমি বগুড়া যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসে টিকেট ক্রয় করতে এসেছি। পশ্চিম পাশে রেলওয়ে টিকেট কাউন্টারে টিকেট নিতে গেলে আমাকে সেখান থেকে বলে ৪ নং প্ল্যাটফর্মে টিকেট কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে বলে। এসে দেখি এখানে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনা যায় না। বসে থেকে বা কোমর বাঁকা করে এখান থেকে টিকেট কাটতে হচ্ছে।
আছমা বেগম নামের এক নারী যাত্রী বলেন, আমি সান্তাহার থেকে কমিউটার ট্রেনে কাহালু যাব। কমিউটার ট্রেনের টিকেট অগ্রিম বা অনলাইনে পাওয়া যায় না। ট্রেন ছাড়ের কিছু সময় আগে পাওয়া যায়। কাউন্টারে টিকেট কাটতে এসে দেখি এখানে হেলে বা বসে টিকেট কাটতে হবে। এখানে এভাবে হেলে টিকেট কাটা সম্ভব নয় এখন ট্রেনের ভেতরে জরিমানাসহ টিকেট কাটা ছাড়া উপায় নাই।
আজিজুর নামের স্থানীয় একজন বলেন, কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হলেও টিকিট প্ল্যাটফর্মের কাউন্টারটির এমন চিত্র ব্যতিক্রম। যদিও প্ল্যাটফর্মের টিকেট কাউন্টার ছাড়াও আরও একটি টিকেট কাউন্টার রয়েছে তবে এই কাউন্টার থেকে মিটারগেজ লাইনের ট্রেনের টিকেট বিক্রয় করা হয়। তবে এভাবে বসে, হেলে, হামাগুড়ি দিয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।
সান্তাহার রেলওয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ও নোট করা হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে দ্রুত কাজ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।