আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে বড় বড় ঐতিহাসিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উত্থান-পতন হয়েছে আর্থ-সামাজিকতা। কিছু মানুষ এসব পরিবর্তনকে পুঁজি করেছেন। কেউ কেউ স্মৃতিচিহ্নসহ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। সেটা হতে পারে একখণ্ড কাগজ বা এক টুকরো পাথর। এর মূল্য এত বেশি যে, তা শব্দে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এমনি এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে স্বাধীনতার সময় পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার জন্য ইস্যু করা একটি রেলটিকিট।
ওই টিকিটটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। রাওয়ালপিন্ডি থেকে অমৃতসরের জন্য মাত্র ৩৬ রুপি ৯ আনাতে ৯ জন যাত্রীর জন্য এটা ইস্যু করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। এই টিকিটের ছবি ‘পাক রেল লাভারস’ নামে ফেসবুকের একটি পেইজে পোস্ট করা হয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ৯ জন যাত্রীর জন্য ১৯৪৭ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর ইস্যু করা একটি রেল টিকিটের ছবি এটি।
রাওয়ালপিন্ডি থেকে অমৃতসর সফরের জন্য ইস্যু করা হয়েছিল এটি। এ জন্য মূল্য নেয়া হয়েছিল ৩৬ রুপি ৯ আনা। সম্ভবত একটি পরিবার ওই সময়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল।
সঙ্গে সঙ্গে এই চিঠি সবার নজর কেড়েছে। অনেকে একে অতীতের এক স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে অভিহিত করেছেন। অনেকে মতামত দিয়েছেন। প্রশ্ন করেছেন কেউ কেউ। একজন মন্তব্যে লিখেছেন, খুবই সুন্দর সংগ্রহ। এটা এখন এক প্রত্নসম্পদ হয়ে উঠেছে। আরেকজন লিখেছেন, এটা শুধু এক টুকরো কাগজ নয়। দয়া করে এটি লেমিনেট করে নিন। এটা স্বর্ণের মতো দামী। আমার পিতা ১৯৪৯ সালে একটি ঊষা সেলাই মেশিন কিনেছিলেন। তার একটি ক্যাশমেমো পেয়েছি। তৃতীয়জন লিখেছেন, চমৎকার জিনিস। শক্তিশালী কার্বন কপি। ৭৫ বছর পরেও বিন্দুমাত্র ম্লান হয়নি। ওল্ড ইজ গোল্ড।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, যখন এই টিকিট ইস্যু করা হয়েছিল তখন এর দাম অনেক বেশি নেয়া হয়েছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ওই সময় ৩৬ রুপি ৯ আনা অনেক বেশি টাকা ছিল। অন্য একজন লিখেছেন, গড়ে প্রতিজনের ভাড়া নেয়া হয়েছে ৪ রুপি। গড়ে একজন দিনমজুর দিনে উপার্জন করেন প্রায় ১৫ পয়সা। কিভাবে সাধারণ মানুষ রাওয়ালপিল্ডি থেকে অমৃতসর সফর করেছেন!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।