নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পরীক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি ডিজিলাইজেশন ও নৈপুণ্য প্লাটফর্মে ইন্টিগ্রেশন বিষয়ক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সভাকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর সচিব মো. হুমায়ূন কবীর।
কর্মশালায় শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মঞ্জুর রহমান খানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কলেজ পরিদর্শক মো. এনামুল হক।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আরিফুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহা. জিয়াউল হক ও সিনিয়ার সিষ্টেম এনালিষ্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন- এটুআইয়ের ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট মো. সিফাতুল ইসলাম ও এডুকেশন এক্সপার্ট মো. সাজ্জাদ হোসেন খান।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, স্মার্ট শিক্ষায় স্মার্ট দেশ শেখ হাসিনা’র বাংলাদেশ। এই শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য নৈপুণ্য অ্যাপের গুরুত্ব অপরিসীম। পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা ইনভিজিলেশন দেবেন, তাদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয় নতুন কারিকুলাম। চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এই নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি ডিজিলাইজেশন ও নৈপুণ্য প্লাটফর্মে ইন্টিগ্রেশন বিষয়ক দুই দিনব্যাপী কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী, প্রতিটি বিষয়ে মিডটার্ম ও বার্ষিকের মতো চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এই সময়ে ছয়টি সেশন হবে। প্রথম চার ঘণ্টা ব্যবহারিক ও এক ঘণ্টা তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষার মূল্যায়ন করবে শিক্ষা বোর্ড। পাঁচ ঘণ্টার এই সেশনগুলোতে একজন শিক্ষার্থীকে দলগতভাবে কাজ করতে হবে। আবার প্রত্যেককে এককভাবে ব্যবহারিক কাজও করতে হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা বা মূল্যায়ন কেন্দ্র হবে শিক্ষার্থীর নিজ প্রতিষ্ঠানেই। আর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য যেতে হবে নিজ স্কুলের বাইরের ভিন্ন কেন্দ্রে। শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাসের ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হবে। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসের ভিত্তিতে এইচএসসি পর্যায়ে দুইটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।