জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ জাতীয় উদ্যান সিংড়া শালবনে শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসার পর ট্র্যাকিং ডিভাইসসহ মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১০টি শকুন। বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে শকুনগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসের শুরুতে আটক হওয়া বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির শকুন উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ জাতীয় উদ্যান সিংড়া শালবন শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর আজ ১০টি শকুন ছেড়ে দেওয়া হলো।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) মুখ্য গবেষক এ বি এম সারোয়ার আলম জানান, শকুনগুলি পরিযায়ী প্রজাতির। শীতকালে হিমালয় অঞ্চল হতে আমাদের দেশে এসেছিল। অনেক দূরের পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে আসার সময় দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পরে শকুনগুলি লোকালয়ে আটক হয়। রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় অঞ্চল থেকে বেশি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর ৪৬টি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। আগে কিছু শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে। সাফারি পার্কে কয়েকটি শকুন রাখা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সারাদেশে ২৪৯টি শকুন প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজকে তিনটি শকুনের শরীরে ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানো হয়েছে। ডিভাইসের মাধ্যমে শকুনগুলোর গতিবিধির ওপর নজর রাখা হবে।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) মুখ্য গবেষক এ বি এম সারোয়ার আলম, বিশ্বব্যাপী হুমকির সম্মুখীন প্রজাতি নিয়ে কাজ করা সেভ প্রকল্প পরিচালক ক্রসি বাউডেন, বন সংরক্ষক, বন্য প্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন বিভাগের ইমরান আহম্মেদ, আইইউসিএন প্রতিনিধি সাকিব আহম্মেদ ও কাজী জেনিফার আজমেরী, দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন, ঠাকুরগাঁও ফরেস্ট রেঞ্জার তসলিমা খাতুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় অঞ্চলে বেশি উদ্ধার হয়। ২০১৪ সাল থেকে এখানে প্রতি বছর উদ্ধার হওয়া শকুন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে অবমুক্ত করা হয়। অবমুক্ত করা কিছু শকুনের শরীরের স্যাটালাইট ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানো হয়েছে তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।