উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন আকাশপথের পরিবর্তে বিশেষ বুলেটপ্রুফ ট্রেনে করে চীন সফরে গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে তিনি সীমান্ত অতিক্রম করেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রোদং শিনমুন জানিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত বেইজিংয়ের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দিতে এ সফরে গেছেন কিম।
চীন সফরের উদ্দেশ্যে সোমবার পিয়ংইয়ং ছাড়েন কিম জং উন। বুধবারের সামরিক কুচকাওয়াজে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে মঞ্চে থাকবেন। এটিই এখন পর্যন্ত তাঁর সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ।
রোদং শিনমুনের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বিশেষ বুলেটপ্রুফ ট্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কিম; হাতে একটি সিগারেট। অন্য একটি ছবিতে তাঁকে ট্রেনের ভেতরে কাঠের অলঙ্করণে সাজানো কক্ষে ডেস্কে বসা অবস্থায় দেখা যায়, পেছনে উত্তর কোরিয়ার পতাকা এবং একটি বন্ধ ল্যাপটপ রাখা ছিল।
রয়টার্স জানিয়েছে, চীনে প্রবেশের আগে সোমবার কিম সফর করেন উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র গবেষণাগারে।
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর তিয়ানজিনে রোববার ও সোমবার, দুই দিনের এক আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ২০ জনেরও বেশি নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট শি ‘ন্যায়সংগত ও পক্ষপাতশূন্য বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা’ গড়ে তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন। উত্তর কোরিয়া শি-য়ের এই মন্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক মন্তব্যে দেশটির উপপরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এমন মূল্যবোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া ও চীনের সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
রয়টার্স লিখেছে, এই সম্মেলনে শি নতুন একটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।