জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তি-বিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে ঈদকে উপলক্ষ্য করে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার মত সমান। তাই সহজে কিভাবে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন জেনে নিন।
কয়টি উপায়ে আপনি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন-
আপনি সাধারণত দুইটি উপায়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন একটি হলো অনলাইন পদ্ধতি এবং অপরটি হলো স্টেশনে গিয়ে কাটতে পারবেন। চলুন আমরা দুইটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিই যে কিভাবে আপনি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন।
অনলাইন পদ্ধতি-
বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ টিকিট ক্রয় করার পদ্ধতি বলা যায় অনলাইন পদ্ধতিকে। অনলাইন পদ্ধতিতে আপনি খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আপনি আপনার ঘরে বসেই খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে (https://eticket.railway.gov.bd) সেখান থেকে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।
এছাড়াও রেল সেবা অ্যাপ মোবাইলের প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। সেখানে আপনি খুব সহজেই বিকাশ নগদ অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে টিকিটের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতি খুবই সহজ নিরাপদ এবং সহজলভ্য।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার পদ্ধতি-
অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য আপনার একটি স্মার্ট ফোন অথবা একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে সেখান থেকে খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে টিকিট কাটতে পারবেন। ডিভাইসটি নেওয়ার পর কোন একটি ব্রাউজারে ঢুকবেন তারপর রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকবেন। আপনি চাইলে প্লে-স্টোর থেকে রেল সেবা অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন। ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপের মধ্যে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করে নিন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপসে আপনাদের এন আই ডি ইমেইল নম্বর ফোন নম্বর ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। “Purchase Ticket” এই অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনাকে চারটি বিষয় ফোন করতে হবে বিষয়গুলো আপনার যাত্রা শুরু জায়গার নাম, আপনি কোন তারিখে যাত্রা করতে চান, এবং আপনি কোন ধরনের সিট নিবেন এবং কতটি সেট নিবেন এই তথ্যগুলো পূরণ করুন।
পরবর্তীতে আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন রকমের ট্রেন কোন তারিখে কখন আপনার ওই স্টেশন থেকে ছাড়বে সেগুলোর একটি লিস্ট দেওয়া থাকবে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ট্রেন সিলেক্ট করুন এবং সিট নির্বাচন করুন আপনি কোন ধরনের সিট নিতে চান।
ট্রেনের টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য আপনাকে বিকাশ, রকেট ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক এবং ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেলে ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেলে অবশ্যই টিকিটটি ডাউনলোড করে রাখবেন। এবং যাত্রা শুরুর সময় টিকিটের একটি কপি আপনার কাছে রাখবেন।
রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে টিকেট কাটার পদ্ধতি-
স্টেশন কাউন্টারে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা খুবই সহজ। এজন্য আপনাকে অনলাইনে এত ঝামেলা পোহাতে হবে না। খুব সহজে আপনি স্টেশনে উপস্থিত হয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে টিকিট কাটতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিকেল ৪টার সময় উপস্থিত হতে হবে। কারণ স্টেশনের টিকিট কাটা শুরু হয় বিকেল চারটার পরে।
কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করার সময় আপনার এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে এক্ষেত্রে আপনি আপনার আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে যাবেন। দায়িত্বরত কর্মকর্তা আপনার কাছে আপনার নাম ঠিকানা, এবং কোথা থেকে কোথায় ভ্রমণ করতে চান সেই সম্পর্কে জানতে চাইবে। এবং আপনি কয়টা ট্রেনে ভ্রমণ করবেন সেটি আপনাকে জিজ্ঞেস করবে। এভাবে আপনি প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করে আপনি খুব সহজে স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
স্টেশন থেকে বের হওয়ার আগে এবং টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার পরে টিকিটটি খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন যে কোন সমস্যা রয়েছে কি না। ভ্রমণের আগ পর্যন্ত তার টিকিটটি আপনার কাছে খুব যত্নে রেখে দিবেন টিকিটটি যেন না হারিয়ে যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।