লাইফস্টাইল ডেস্ক : গাছের ফুল-ফল ঝরে পরা বন্ধ করতে পটাশিয়াম ও ফসফরাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বাড়িতে প্রায় প্রত্যেকদিনের রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পেঁয়াজ ব্যবহারের পর সেই পেঁয়াজের খোসা ফেলে দেওয়া হয় ডাস্টবিনে। তবে এই পেঁয়াজের খোসার গুনাগুন কম নয়। ত্বক ও চুলের পরিচর্যার পাশাপাশি তরল জৈব সার ও কীটনাশক হিসেবেও এর উপকারিতা অনস্বীকার্য।
অনেকেই বাড়িতে টবের মধ্যে ফুল ও ফলের চাষ করে থাকেন। বাড়ির ছাদে বা ফাঁকা জায়গায় অনেক রকম ফুল-ফলের গাছ থাকলে তা বাড়ির সৌন্দর্য বেশ বৃদ্ধি করে এবং সাথে সাথে চারপাশের পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় থাকে।
গাছের পরিচর্যা, ফুল ও ফলের ফলন বৃদ্ধি ও গাছকে পোকামাকড়ের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে পেঁয়াজের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদনে শেয়ার করা হল কীভাবে উচ্ছিষ্ট পেঁয়াজের খোসাকে গাছের পরিচর্যা ও গাছকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
গাছের গোড়ায় পেঁয়াজের খোসা দিলে যা ঘটবে
যারা মূলত বাড়িতে গাছ বসিয়ে থাকেন বা গাছের পরিচর্যা করেন তারা সকলেই জানেন গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল-ফল পেতে এবং গাছের ফুল-ফল ঝরে পরা বন্ধ করতে পটাশিয়াম ও ফসফরাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পটাশিয়াম ও ফসফরাসের অভাবে গাছ খর্বাকৃতি হয়, গাছের পাতা হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে , গাছের পাতার আকার হ্রাস পায় ,বৃদ্ধি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এইসব সমস্যা দূর করতে পেঁয়াজের খোসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারন পেঁয়াজের খোসায় পটাশিয়াম ও ফসফরাস এই দুই উপাদানই বর্তমান। এই দুই উপাদান ছাড়াও পেঁয়াজের খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও সালফারের মতো উপাদান। তবে পেঁয়াজের খোসাকে গাছে সার ও কীটনাশক হিসেবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।পদ্ধতিগুলি দেখে নেওয়া যাক।
পদ্ধতি : প্রথমে ১ লিটার জলে ৫০ গ্ৰাম পেঁয়াজের খোসা দিয়ে ২ দিন ভালোভাবে ভিজিয়ে রাখতে হবে। শীতকালের ক্ষেত্রে ৩ দিন এবং গরমকালের ক্ষেত্রে ২ দিন পেঁয়াজের খোসাগুলিকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২ দিন পর খোসা ভেজানো জল লাল হয়ে গেলে সেই জল তরল জৈব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে অতিরিক্ত গরমে সরাসরি এই জল গাছে প্রয়োগ করা যাবে না। অর্ধেক বিশুদ্ধ সাদা জল তার সঙ্গে মিশিয়ে গাছের গোড়ার মাটি ভালোভাবে খুঁড়ে নিয়ে এই পেঁয়াজ খোসার জল প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে শীতকালে সরাসরি এই জল গাছে প্রয়োগ করা যেতে পারে। যে গাছে ফুল বা ফলের ফলন বেশ ভালো সেইসব গাছে ১৫ দিন অন্তর অন্তর এই জল প্রয়োগ করলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং গাছের ফুল ও ফল ঝরে পড়া বন্ধ হবে। শুধু্মাত্র তরল জৈব সার নয় কীটনাশক হিসাবেও কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পেঁয়াজের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে।
২ দিন মতো পেঁয়াজের খোসা ভেজানো জল টিকে একটি স্প্রে বোতলে প্রথমে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। পেঁয়াজের খোসায় সালফার থাকায় এই জল গাছে প্রয়োগ করলে খুব সহজেই গাছে আক্রমণ হানা পোকামাকড় মারা যায়।গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ হোক বা না হোক ১৫ দিন অন্তর প্রত্যেকটি গাছের পাতায় এই জল কীটনাশক হিসেবে খুব ভালোভাবে স্প্রে করলে পোকামাকড়ের উপদ্রবের হাত থেকে গাছকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।