জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী দিনে নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত সরকার গঠন করলে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এমনকি গাছের উঁচু ডাল ও শেকড়ের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ রাখবো না। নারীর স্বাধীনতা রক্ষা করা হবে। কাউকে জোর করে বোরকা পড়ানো হবে না। বরং মনের খুশিতে মর্যাদার প্রতীক হিসাবে কেউ পড়তে চাইলে পড়বেন।
রোববার বিকেলে ফরিদপুরে শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াত ইসলামের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর বলেন, ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার হিংস্র তাণ্ডবের কাছে সেদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। অনেক লড়াই সংগ্রামের পর ২০২৪ সালের পাঁচ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সেই হারানো পথ আবার ফিরে এসেছে। সাড়ে ১৫ বছরের বৈষম্য থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশের মানুষ। আশা করি, ছাত্রজনতা যে বৈষম্যহীন মানবিক সমাজের জন্য লড়াই করেছে, সেই উদ্দেশ্য সফল হবে। হতাহতদের রক্তের ঋণ এই জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন।
এসময় জামায়াত ইসলামের সাবেক দুই শীর্ষ নেতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এই জেলা আমাদের বিশাল আবেগের। বিগত সরকার বিচারের নামে জামায়াত ইসলামের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে খুন করেছে। আমরা দুনিয়ার আদালতসহ আল্লাহর কাছে এই খুনের বিচার দাবি করি।
জামায়াতের আমীর অভিযোগ করে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে হাসিনা সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে ধ্বংস করতে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের নামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকশ অফিসারদের হত্যা করেছে। তাদের পরিবার পরিজনসহ অনেককে হত্যা করে লাশ ড্রেনের পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিল। রাতের অন্ধকারে সেই খুনিদের সেফ জোনে পাঠানের ব্যবস্থা করা হয়। দেশবাসী সেই খুনিদের নাম প্রকাশসহ বিচার দেখতে চায়।
বিগত ১৫ বছর নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে মিথ্যা ভোটের জরিপ দেখানো হয়েছে। দেশের জনগণের ওপর আস্থা না থাকায় আওয়ামী সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচন রাতেই করে ফেলেছে। বিশ্ব মিডিয়ায় যাকে ‘মিড নাইট ইলেকশন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। আর ২০২৪ এর নির্বাচন ‘মামা-ভাগ্নের’ নির্বাচন করে তামাশা করা হয়েছে।
জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো. বদরউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা ও অঞ্চল টিমের সদস্য আবদুত তাওয়াব।
এসময় জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীরা কর্মী সম্মেলনে অংশ নেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।