জুমবাংলা ডেস্ক : এখন জ্যৈষ্ঠ। আম কাঁঠাল লিচু পাকার মাস। ফাগুনের শুরু থেকেই প্রকৃতি সেজেছিলো আপন মনে। গাছের পুরাতন পাতা ঝরে বের হয়েছিলো নতুন পাতা। আর কচি পাতার ফাঁকে উঁকি মেরে বের হয়েছিলো আম, কাঁঠাল আর লিচুর মুকুল। এখন এসব ফল বড় হয়ে মানুষের আহারের উপযোগী।
ফলের জেলা দিনাজপুরে গাছে গাছে এবার কাঁঠালের সমারোহ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির ভেতর-বাইরে, রাস্তার পাশে, মাঠের আইলেসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কাঁঠাল গাছ। প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত কাঁঠাল ধরেছে। আর এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে পাকতে শুরু করবে কাঁঠাল। ভালো ফল পাবার আশায় গৃহস্ত ও বাগান মালিকরা সকাল-সন্ধ্যা পরিচর্যা করছেন গাছের।
শুধু ফল কেন, কাঁঠালের কোনো কিছুই ফেলনা নয়। দিনাজপুরে এক আঁটি কাঁঠাল পাতার দাম ১২ টাকা। তা ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কাঁঠালের বিচি অনেকেরই প্রিয় তরকারি। পাকা কাঁঠালের ভুতি গরু-ছাগলের প্রিয় খাবার। আবার কাচা কাঁঠাল গ্রাম-বাংলার মানুষের প্রিয় তরকারি।
হাকিমপুর উপজেলার মংলা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাড়ির ভেতরে আমার একটি পুরাতন কাঁঠাল গাছ আছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে, এবারও অনেক কাঁঠাল ধরেছে। প্রতি বছর সপরিবারে কাঁঠাল খেয়ে আবার প্রতিবেশিদের দিয়ে থাকি।
লোকাল ট্রেনে আবারও লজ্জার সীমা অতিক্রম করে ড্যান্স করলেন এই যুবতী
উপজেলার বোয়ালদাড় গ্রামের আকরাম হোসেন বলেন, আমার বাড়ির চারপাশে পাঁচটি কাঁঠাল গাছ আছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে। প্রতি বছর আমরা পরিবারের সবাই খেয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকি। খাজা জাতের কাঁঠাল সবাই পছন্দ করে। প্রতিবছর কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে কিনে নিয়ে যান। কাঁঠালের বিচির অনেক সুস্বাদু ভর্তাসহ তরকারি রান্না করা হয়। কাঁঠালে কোনো লোকসান হয় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।