লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্টাইলের দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে রাখার সঙ্গে রোদের তাপ ও ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখ রক্ষা করতে বেছে নিতে পারেন ট্রেন্ডি সানগ্লাসগুলো।
১। গোলাকার সানগ্লাস : গোলাকার, রাউন্ড বা সার্কেল শেপের সানগ্লাস স্টাইলে আবার পাকাপোক্তভাবে জায়গা করে নিয়েছে। আধুনিক আর সাবেকি স্টাইলের মিশ্রণে তৈরি এই সানগ্লাস স্টাইলিশ ভাইব দেবে, সূর্য থেকে চোখও বাঁচাবে। গোলাকার ফ্রেম বহুমুখী আবেদনের সঙ্গে যেকোনো ধরনের মুখের আকারের পরিপূরক। ট্রেন্ড সেটারদের জন্য একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে এই সানগ্লাস কাজে দেবে। এ ক্ষেত্রে ফ্যাশনিস্তারা চাইলে ক্ল্যাসিক কালো ফ্রেমের সঙ্গে গাঢ় রঙের লেন্স কিংবা মেটাল রাউন্ড সানগ্লাস বেছে নিতে পারেন।
২। রেট্রো স্টাইল সানগ্লাস : আশি, নব্বইয়ের দশকের রেট্রো স্টাইলের সানগ্লাসগুলো এখন বেশ চলছে। জেনারেশন জেড বা জেন-জিদের হাত ধরে আবারও নতুন আঙ্গিকে ফিরেছে এই সানগ্লাস। যেকোনো আউটফিটের সঙ্গেই মানিয়ে যায় এই স্টাইলিশ অনুষঙ্গ। নানা শেপের এই সানগ্লাসগুলো ক্যারি করতে পারলে সব পরা যাবে সব জায়গায়।
৩। সাদা রিম রেট্রো স্কয়ার সানগ্লাস : হালের ট্রেন্ডে জনপ্রিয়তার সঙ্গে রাজত্ব করছে সাদা ফ্রেমের সানগ্লাস। আর এই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন এখন ফ্যাশনিস্তারা। ভিনটেজ ভাইব আর আধুনিকতার মিশেলে তৈরি এই সানগ্লাস যেকোনো আউটফিটের সঙ্গে ‘কুল লুক’ দেবে। পিকনিক বা ভ্রমণে পছন্দের জিনস আর সামার ফ্রেন্ডলি টি-শার্টের সঙ্গে চোখে সাদা ফ্রেমের সানগ্লাস মানাবে বেশ।
৪। হাতে আঁকা রঙিন সানগ্লাস : কিশ আর্ট কিংবা রিকশা পেইন্ট প্যাটার্নের হাতে আঁকা রঙিন রোদচশমা এখন ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে টপস, শার্ট, টি-শার্ট, এমনকি শাড়ির সঙ্গে এই তপ্ত দিনে অনেকে বেছে নিচ্ছেন নানা রকম মোটিফ ও নকশা করা হাতে আঁকা চশমা। ভ্রমণে, গায়েহলুদ, বিয়েতে অথবা যেকোনো অনুষ্ঠানে অনেকের চোখে থাকে এই ট্রেন্ডি অনুষঙ্গ। তবে আজকালকার ফ্যাশনপ্রেমীরা শুধু নামীদামি ব্র্যান্ড আর চোখকে তাপ থেকে বাঁচাতে চশমা পরেন না। সঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব পায় স্টাইলিংও। একরঙা ফ্রেমের কালো চশমার চেয়ে এখন বহুবর্ণিল ফ্রেমের সানগ্লাসের দিকে ঝুঁকছেন তরুণেরা। এর মধ্যে কিশ আর্ট বা রিকশা পেইন্ট সবচেয়ে এগিয়ে। চশমার ফ্রেমে আঁকা লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ছাড়াও অন্যান্য পপিং রঙের আধিপত্য থাকায় চশমা সেজে ওঠে আলাদা ঢঙে। আর সেই চশমা চোখে দিলে মনটাও থাকে ফুরফুরে।
৫। ওভারসাইজড সানগ্লাস : গরমের প্রখরতা থেকে চোখ বাঁচাতে এ সময় ওভারসাইজড সানগ্লাস অন্যতম পছন্দ হতে পারে। পুরো চোখ ঢেকে রাখার সঙ্গে ফ্যাশন স্টেটমেন্টে রেট্রো গ্ল্যাম তৈরি করবে বড় আকারের চশমা। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে ভিনটেজ ভাইব দেবে এই স্টাইলিশ অনুষঙ্গ।
৬। টিন্টেট জ্যামিতিক সানগ্লাস : জ্যামিতিক শেপের নানা ধরনের সানগ্লাস এখন স্টাইলে ইন। ওয়েস্টার্ন থেকে শুরু করে এথনিক আউটফিটের সঙ্গেও এই স্টাইলিশ আর ট্রেন্ডি সানগ্লাসগুলো মানিয়ে যাবে। টিন্টেড বা গাঢ় রঙের লেন্স থাকায় চোখও বেশ সুরক্ষিত থাকবে।
৭। মিররড অ্যাভিয়েটর সানগ্লাস : আইকনিক এই চশমা ২০ শতকের গোড়ার দিকে পাইলটদের পরা অ্যাভিয়েটর গগলস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে। মিররড অ্যাভিয়েটর সানগ্লাসের প্রতি ফ্যাশন–সচেতনদের ভালোবাসা চশমার জগতে নতুন ট্রেন্ড সৃষ্টি করেছে। যদিও সব সানগ্লাসই সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়, তবে মিররড সানগ্লাসের কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
অ্যান্টিরিফ্লেক্টিভ এই সানগ্লাস, অতিরিক্ত আলোকে চোখের সংস্পর্শে আসতে বাধা দেয়। এই চশমা বিশেষভাবে খেলাধুলার সময় বা সমুদ্রসৈকত, সুইমিংপুল, হাইকিংয়ের মতো যেকোনো অ্যাডভেঞ্চারে স্টাইল আর আরাম দুটোই দেবে।
সূত্র ও ছবি : হাল ফ্যাশন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।