লাইফস্টাইল ডেস্ক : একে গরম, তায় আবার খাতায় কলমে বর্ষাকাল। এই সময়টাতে বাড়িতে পোকামাকড় বাড়তে থাকে। বিশেষ করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে টিকটিকির দল। শীতকালে নিজেদের লুকানো বাসায় গা ঢাকা দিলেও গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে বাইরে কিলবিল করতে থাকে তারা। ভ্যাপসা পরিবেশ বা বর্ষায় তো কথাই নেই। তাছাড়া টিকটিকিরা ঋতু বৈচিত্র নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায় না। সুযোগ পেলেই ঘরের দেওয়ালে হেঁটে বেড়ায়। আজকাল তো বহাল তবিয়তে মেঝে দিয়ে ইঁদুরের মতো দৌড়োদৌড়িও করে।
টিকটিকি শুধু যে অস্বস্তিকর একটি প্রাণী তাই নয়, এটি অত্যন্ত বিষাক্ত। আট থেকে আশি টিকটিকি কম বেশি সকলেই ভয় পায়। এই বিরক্তিকর টিকটিকিকে বাড়ি থেকে দূর করতে চাইলে কয়েকটি কৌশল নিতে পারেন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই কৌশল প্রয়োগে ঘর টিকটিকিমুক্ত হতে পারে।
ময়ূরের পালক দেখলেই পালায়
দেখা গিয়েছে, টিকটিকি ময়ূরের পালক দেখলেই পালায়। তাই টিকটিকির থেকে পরিত্রাণ পেতে ঘরে বা দেওয়ালে ময়ূরের পালক রাখতে পারেন। আসলে, ময়ূররা টিকটিকি খায়, তাই ময়ূরের পালকের গন্ধ পেলে বা সেটি দেখতে পেলেই টিকটিকি ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই জায়গায় আর আসে না।
আপনার বাড়ির যেখান যেখানে টিকটিকি আসে, সেই সব জায়গায় ময়ূরের পালক সাজিয়ে রাখুন। ঘর দেখতে সুন্দরও লাগবে, আবার টিকটিকিও পালাবে।
ঘর জুড়ে ন্যাপথালিন বল
আপনার ঘরের চারপাশে, প্রতিটি ড্রয়ার, আলমারি বা কোণায় কয়েকটি ন্যাপথলিন বল রেখে দিন। টিকটিকি এই ন্যাপথলিন বলের তীব্র গন্ধ সহ্য করতে পারে না। ফলে সে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। আবার ন্যাপথলিনের বল ঘরে রাখলে, ঘরজুড়ে একটা সুগন্ধও থেকে যায়।
টিকটিকির ডিমের ভয়
টিকটিকি থেকে মুক্তি পেতে ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। ওমলেট করার সময় ডিমের একটি ধারে ছোট্টো ফুটো করে ডিম বের করে নিন। আর সেই খোসাটি ঘরের যে সব স্থানে টিকটিকি বারবার আসে সেখানে রেখে দিন।
দেওয়ালের পেরেকেও খোসা টাঙিয়ে রাখতে পারেন। দেখলে মনে হবে একটি ডিম সাজানো রয়েছে। ডিমের খোসার গন্ধে টিকটিকি পালায়। আবার বড় ডিম দেখে বড় প্রাণীর উপস্থিতির আশঙ্কা করে। সেই ভয়েই খোসার ধারে কাছে আসে না। তবে মাঝে মাঝে খোসার স্থান পরিবর্তন করতে হবে।
কফির কড়া গন্ধে কাহিল
আপনি যেমন টিকটিকিদের সহ্য করতে পারেন না, তেমনই টিকটিকিরা সহ্য করতে পারে না কফির গন্ধ। কফি এবং তামাক একসঙ্গে মিশিয়ে অল্প জল দিয়ে ছোটো ছোটো বল বানিয়ে নিন। ঘরের কোণায় কোণায় সেই বল রেখে দিন। দেখবেন টিকটিকি পালিয়ে গেছে।
এদিকে গোলমিরচের গুঁড়োতেও টিকটিকি পালায়। জলের মধ্যে গোলমরিচ গুলে সেই দ্রবণটি একটি স্প্রে বোতলে রাখুন। যেসব স্থানে টিকটিকি আসে সেখানে সেই স্প্রে করে দিন। দিন কয়েক করে দেখুন টিকটিকি আর আসবে না।
পেঁয়াজ রসুনের তীব্র গন্ধ
পেঁয়াজ ও রসুনের গন্ধও এতটাই তীব্র যে গন্ধ পেয়ে বা দেখে টিকটিকি আর ওই জায়গায় আসে না। এমন অবস্থায় যে সব স্থানে বারবার টিকটিকি দেখা যায় সেই স্থানে একটি কাটা পেঁয়াজ বা রসুনের কোয়া ঝুলিয়ে রাখুন। এর তীব্র গন্ধ টিকটিকিকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।