আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভিবাসনবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে শত শত বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন এমনটা করা হয়েছে, তা অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই জানা নেই। তবে বেশ প্রসারিত হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি।
বৃহস্পতিবার (১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসা বাতিল হওয়া একাধিক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আইনের আশ্রয় নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি দ্রুত নির্বাসনের বৈধতা দেয়।
এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার অনুমতি বাতিল করার জন্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, তার ন্যায্যতাও প্রমাণ করে।
নতুন নিয়ম সূত্রে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি কোন কারণে একজন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়, তবে সে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা বা চাকরি চালিয়ে যাওয়ার অধিকার হারাবেন। অর্থ্যাৎ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা তার জন্য নিরাপদ নয়।
অথচ এর আগের নিয়মে বলা হয়েছিল, যদি কোন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়, তবে শিক্ষাকার্যক্রম শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবে। তবে দেশ ছেড়ে চলে গেলে তারা কেবল যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় প্রবেশ করতে পারবে না।
আদালতে করা মামলাগুলো বিচারিক কার্যক্রম
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হঠাৎ ভিসা বাতিল হওয়া কিছু শিক্ষার্থীর করা মামলার কার্যক্রমের সময় নতুন তথ্য উঠে এসেছে, যার কোনো আইনি ব্যাখ্যা নেই।
অনেক ক্ষেত্রেই বিচারকরা প্রাথমিক রায় অর্থ্যাৎ পূর্বের নীতি অনুসরণ করে রায় দিয়েছেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়, সরকার যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই কাজ করেছে।
এরপর সরকার আদালতকে জানিয়েছে যে তারা একজন শিক্ষার্থীর আইনি স্ট্যাটাস বাতিল করার জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করবে। পরে সোমবার আদালতে করা একটি ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট নথিতে বলা হয়, বৈধ কারণগুলোর মধ্যে এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা অন্তর্ভুক্ত।
ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি ব্র্যাড ব্যানিয়াস বলেন, এটি কেবল তাদের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে ভিসা প্রত্যাহার করতে এবং তারপরে সেই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার জন্য স্পষ্টভাবে সুযোগ দিয়েছে। এমনকি ওই শিক্ষার্থীরা যদি কোনো ভুলও না করে থাকে।
এছাড়া আটলান্টা-ভিত্তিক ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি চার্লস কাক বলেন, নতুন নির্দেশিকা ট্রাম্প প্রশাসনকে এমন শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করার অনুমতি দেয়, যদি তাদের নাম অপরাধী বা আঙুলের ছাপ ডাটাবেসে এমনভাবে প্রকাশিত হয়, যা অতীতে অনুমোদিত ছিল না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।