আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ ১৩২ বছরের পুরোনো ইতিহাস ছোয়ার দিকে হাত বাড়িয়েছেন তিনি। মার্কিন ইতিহাসে ট্রাম্পই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক গুরুতর অভিযোগ।
রাজনীতিতে পা রাখার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন এক ব্যবসায়ী। তবে এর পাশাপাশি টিভির পর্দাতেও তাকে দেখা যেত নানান অনুষ্ঠানে। এছাড়া নানান বিতর্কও তার সঙ্গী হয়েছে বিগত দিনে। ২০১৬ সালে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুস দেওয়ার মামলায় মোট ৩৪টি অভিযোগের সবকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। এই আবহে ট্রাম্পই প্রথম ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট’, যিনি কি না ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। তবে এবার তিনি আবারও মার্কিন মসনদে বসতে যাচ্ছেন।
প্রথম মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনো ফৌজদারি মামলার বিচারে হাজির হয়ে লজ্জার ইতিহাস গড়েছিলেন ট্রাম্প। আর সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েও ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন এই রিপাবলিকান। আর এবার একটি নির্বাচনে হারের পর ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৩২ বছর পুরনো ইতিহাস ছুঁলেন ট্রাম্প।
তবে নিজের যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে ঘুস দেওয়ার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছিল নিউইয়র্কের আদালতে। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ট্রাম্প। এই মামলায় মোট ৩৪টি অভিযোগ ছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তবে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েও প্রেসিডেন্ট হতে কোনো বাধা নেই ট্রাম্পের সামনে।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি প্রচারের সময় পর্নস্টার স্টর্মির মুখ বন্ধ করতে ঘুস দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল এই মামলা।
স্টর্মির দাবি, ২০০৬ সালে নেভেদায় সেলেব্রিটিদের একটি গলফ প্রতিযোগিতায় ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। এরপর ২০০৭ সালে একটি শো’তে অংশগ্রহণ করে লস অ্যাঞ্জেলসে বেভারলি হিলসে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বাংলোয় দেখা করেছিলেন স্টর্মি।
এরপর ২০১১ সালে ইন টাচ ম্যাগাজিনে স্টর্মি দাবি করেন যে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। সেই সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে ট্রাম্প তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এই বিতর্কের পর ২০১৬ সালে রিপাবলিকানদের হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ান ট্রাম্প।
বাজার কাঁপাতে আসছে দুর্দান্ত ক্যামেরার সঙ্গে AI ফিচার নিয়ে OPPO Reno 12 সিরিজ
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় নিয়ে মুখ না খোলার জন্য স্টর্মিকে ১৩০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের আইনজীবী। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে ট্রাম্পের আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে স্টর্মিকে নিজের থেকে অর্থ দিয়েছিলেন। ট্রাম্প ওই বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।