আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ইসরায়েল বিরোধী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করবেন। আর এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের উচিত শিক্ষা দেবেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এই তথ্য জানায় আলজাজিরা।
রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ট্রাম্প অঙ্গীকার করেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দমন করবেন তিনি। বৈঠকে দাতাদেরকে ট্রাম্প ‘আমার ৯৮ শতাংশ ইহুদি বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন।
একই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন এরকম কয়েকজন ব্যক্তি ট্রাম্পের বরাত দিয়ে বলেন, ‘আমি একটা জিনিস করতে চাই, যা হলো, কোনো শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করলেই তাকে আমি দেশ থেকে বের করে দেব। আপনারা জানেন, (যুক্তরাষ্ট্রে) অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী আছে। যখনই তারা এটা শুনবে, তারা ভদ্র আচরণ শুরু করবে। আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, এবং আমি মনে করি আপনাদের অবশ্যই সেটা করা উচিত, আমি যদি আবারও জিতে যাই, তাহলে আমি এই আন্দোলনকে ২৫ থেকে ৩০ বছর পিছিয়ে দেব’।
সালমান খান আদর্শ পুরুষ, অক্ষয়-শাহরুখ ব্যবসায়ী : প্রিয়াঙ্কার মা
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ১৪ মে দাতাদের এই বৈঠকে অংশ নেন ট্রাম্প। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দাতাদের নাম প্রকাশ করেনি ওয়াশিংটন পোস্ট। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করায় বৈঠকে নিউইয়র্ক পুলিশের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। অন্য শহরগুলোরও নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে অনুসরণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইসরায়েল ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করে একটি শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার ট্রাম্পের সঙ্গে লবিং করেছে প্রধান রিপাবলিকান দাতারা। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সামনে রেখে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে পুঁজি করে নোংরা রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্প ও বাইডেনের বিরুদ্ধে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।