জুমবাংলা ডেস্ক : সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে যে হারে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে, সে হারে নতুন করে বিনিয়োগ করছে না। ফলে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ কমছেই। এপ্রিল মাস শেষে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
বুধবার (৩১ মে) এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। বরং তিন হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সরকারের কোষাগার থেকে দিয়ে শোধ করেছে। এ সময়ে ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।
তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ১০ মাসে যা বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কোনো ঋণ পায়নি। উল্টো আগের টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।
একক মাস হিসাবে এপ্রিল মাসের তথ্যে দেখা যায়, সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার। এর বিপরীতে ওই মাসে মূল ও মুনাফা বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। এ সময় নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৫৮১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের মাস মার্চে নিট বিক্রির ঘাটতি (ঋণাত্মক) ছিল ৬৫২ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।