আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৩ বছর বয়সী ইউক্রেনের এক বালিকাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় না পেয়ে বাধ্য হয়ে নিজ দেশ ইউক্রেনে ফিরে যেতে হয়েছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে বড় বোনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের জন্য আসতে চেয়েছিল সে।
কিন্তু সঙ্গে বাবা-মা না থাকায় ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সেই ১৩ বছরের বালিকাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু তার ১৮ বছরের বড় বোনকে দেশটির ভিসা দেওয়া হয়।
একটি শিশুকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে, সংসদে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে প্রশ্ন করেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।
তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে জানতে চান, কাজটি ঠিক হয়েছে কিনা।
টিউলিপ সিদ্দিক বরিসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ দুই বোন কয়েক সপ্তাহ মন্টিনেগ্রোর একটি বিপজ্জনক অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে ছিল যখন যুক্তরাজ্যেরা হোম অফিস ছোট বোনের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে অস্বীকৃতি জানায় কারণ তার বয়স ছিল ১৩ এবং বাবা-মাকে ছাড়া সে ভ্রমণ করছিল। যদিও তার সঙ্গে ছিল তার ১৮ বছর বয়সী বোন।
এরপর টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, আমি কি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে পারি, তিনি কি তার বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন, তিনি কি মনে করেন অরক্ষিত শিশুকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত পাঠানো সঠিক নীতি?
টিউলিপের প্রশ্নের জবাবে বরিস জনসন জানান, বিষয়টি হোম অফিস দেখবে।
সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।