বিনোদন ডেস্ক : গায়ের রং আর উচ্চতাই এখনও বিয়ের বাজারে মাপকাঠি। এ দেশে মেয়েদের হাল নিয়ে ফের সরব সোনম। তুলে ধরলেন নিজের অভিজ্ঞতা। যতই থাক পড়াশোনা, যতই ভাল হোক কেরিয়ার, বিয়ের বাজারে কোথায় দাঁড়িয়ে মেয়ে?
ভাল পাত্র মিলেছে, তাতেই এখনও বাবা-মায়ের সুখ। এই ২০২১-এ, নারী স্বাধীনতার জোরালো উদ্যাপনের মাঝেও এমন ছবিতেই অভ্যস্ত এ দেশের একটা বড় অংশ। মেয়ের গায়ের রং কালো? বিয়ে করবে কে? কপালে চিন্তার ভাঁজ।
বাবা-মা যদি না-ও বা ভাবেন, ঠিক মনে করিয়ে দেবেন আত্মীয়-প্রতিবেশী কেউ না কেউ! আর পাঁচ জনের মতো এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল সোনম কপূরের। সে গল্প নিজেই শুনিয়েছিলেন নায়িকা।
বরাবরই স্পষ্টবক্তা অনিল কপূরের কন্যা। সে ভাবেই তাঁকে দেখেছে বলিউড। চিনেছেন অনুরাগীরাও। মেয়েদের হয়ে কথা বলতে এগিয়ে এসেছেন বহু সময়েই। সোজা কথা বলেছেন সোজাসুজি। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এক সাক্ষাৎকারে পর্দার ‘নীরজা’ নিজেই জানিয়েছিলেন, কী ভাবে তাঁর গায়ের রং আর উচ্চতা হয়ে গিয়েছিল চর্চার বিষয়।
সোনম তখন কিশোরী। গায়ের রং বেশ চাপা। তাঁর বয়সি এবং গড়পড়তা ভারতীয় মেয়েদের তুলনায় উচ্চতাও খানিক বেশি। তাতেই নাকি রাতের ঘুম ওড়ার জোগাড় হয়েছিল আত্মীয়দের। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘‘আর পাঁচ জন কিশোরীর মতোই তখন আমারও হরমোনের নানা সমস্যা।
গায়ে লোম, মুখে ব্রণ। তাতে আবার গায়ের রং আর উচ্চতা এমন। বয়স্ক আত্মীয়েরা বলতেন, তুমি এত কালো আর লম্বা, কে বিয়ে করবে তোমায়? আসলে এই বয়স থেকে মেয়েদের তো তৈরি করা হয় বিয়ের জন্যই। তার সৌন্দর্য বাড়াতে যত প্রস্তুতি! যাতে ভাল বর জোটে!’’
সোনমের অবশ্য ভাল বর পেতে সমস্যা হয়নি। দিল্লির ব্যবসায়ী আনন্দ অহুজার সঙ্গে তাঁর সুখী সংসার। ৩৭ বছরের সোনম এখন মা হওয়ার অপেক্ষায়। ঝলমল করছেন মাতৃত্বের জেল্লায়। সে ছবি তুলে ধরেছেন ইনস্টাগ্রামেও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।