আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানির বামপন্থী এমপি আকবুলুতকে বিমানবন্দরে আটক করেছিল তুরস্ক। পরে তিনি বললেন, তুরস্ক অবিচারের দেশ। ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তুরস্কে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। তিনি সোজাসাপ্টা বলেছেন, ‘তুরস্কে আইনের শাসন নেই, সেখানে আইন, বিচার ও প্রশাসনের মধ্যে ক্ষমতার ভাগও নেই।
কোনো প্রগতিশীল গণতন্ত্রে এটা খুবই জরুরি।’
এই বামপন্থী এমপি বলেছেন, ‘তুরস্কে খামখেয়ালি শাসন চলছে। সেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সমানে বাড়ছে। ডিক্রি জারি করে বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেখানে বেআইনি শাসন চলছে।’
কেন গ্রেপ্তার?
গত ৩ আগস্ট এই নারী এমপিকে তুরস্কের বিমানবন্দরে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে একটা ওয়ারেন্ট জারি করা ছিল। তাতে অভিযোগ ছিল, আকবুলুত সন্ত্রাসবাদীদের হয়ে প্রচার করেন। তিনি ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট করেছিলেন।
যার ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। আকবুলুতের জন্ম হয়েছিল তুরস্কে।
২০১৯ সালে উত্তর সিরিয়ায় কুর্দদের মিলিশিয়াগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল তুরস্ক। আর আকবুলুত তার তীব্র সমালোচন করেছিলেন। তিনি জার্মান সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন, তারা যেন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
কূটনৈতিক তৎপরতায় মুক্ত
সমাজবাদী বামপন্থী দলের সদস্য আকবুলুত জানিয়েছেন, তার মুক্তির জন্য জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সচেষ্ট হতে হয়েছিল। তারা তুরস্কের স্বরাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কূটনৈতিক সংকট মিটে যায়। সরকারিভাবে জানানো হয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
এমপির বক্তব্য
এই বামপন্থী এমপি বলেছেন, আগামী অক্টোবরে তিনি সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে আবার তুরস্কে যাবেন। তবে তিনি বলেছেন, যেসব সাংবাদিক তুরস্কের সমালোচনা করেছেন, তারা সেই দেশে যাওয়ার আগে যেন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে যান। খোঁজ নিয়ে যান, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে কি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।