বিনোদন ডেস্ক : সামাজিক মাধ্যমজুড়ে ভারতীয় ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া টুয়েল্ভথ ফেইল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনার কারণ রয়েছে। এখানে একটি সফলতার গল্প রয়েছে। শূন্য থেকে চূড়ার গল্প রয়েছে।
জিরো থেকে হিরো হওয়ার গল্প রয়েছে। আইপিএস কর্মকর্তা মনোজ কুমার শর্মাকে নিয়ে ঔপন্যাসিক অনুরাগ পাঠকের উপন্যাস ‘টুয়েলভথ ফেল’ অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা বিধু বিনোদ চোপড়া।
এই সিনেমা দেখার শেখার অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। এরমধ্য থেকে ৭ টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আত্মস্ত করা যেতে পারে।
১. অভাব কোনো অযুহাত হতে পারে না। লেগে থাকলে মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। যারা অভাবকে সামনে এনে বলে- অর্থের জন্য পড়াশোনা হচ্ছে না, তারা শুধুই অযুহাত তৈরি করছে। নিজেকে ফাঁকি দিচ্ছে। টুয়েল্ভথ ফেইল চলচ্চিত্রে মনোজ দাদির অর্থ নিয়ে পড়াশোনা করতে শহরে গেলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাগ হারিয়ে ফেলেন। খেয়ে না খেয়ে শূন্য থেকে শুরু করে মনোজ। এক সময় সফল হন।
২. খাদে পড়ে গেলেও উঠে দাঁড়ানো সম্ভব। মানুষের জীবনে অন্ধকার সময় আসতেই পারে। মনে হতে পারে জীবনে আর কিছুই সম্ভব না, সব শেষ। কিন্তু সেখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। দ্বাদশ শ্রেণিতে অকৃতকার্য হয়েও মনোজ আইপিএস অফিসার হতে পেরেছিলেন।
৩.সততার জয় সর্বত্র, সর্বজনীন। অন্তিম পর্যায়ে এসে অনেকেই হাল ছেড়ে দেয়, কিন্তু সততা ধরে রাখলে প্রচণ্ড প্রতিকূল পরিবেশ শেষে একসময় অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবেই। মনোজের বাবা সততা ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও এক সময় সততার পথ থেকে সরে আসতে চান কিন্তু মনোজ অটল থাকেন। যার ফল তিনি পান।
৪.কঠোর পরিশ্রম। অযুহাত নয়, কঠোর পরিশ্রম মানুষকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। এটা সবসময় যেমন সত্য- এই সিনেমায় তা আর ভাস্বর হয়ে উঠেছে। আর উজ্জ্বল হয়েছে। পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
৫.অনুপ্রেরণা একটা মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য অনুপ্রেরণা মানুষকে অনেক দূর- সাত সমুদ্দুর, তেরো নদী পাড়ি দিতে সহায়তা করে। মনোজের জীবনে অনুপ্রেরণার নাম শ্রদ্ধা।
৬. গৌরি ভাইয়ের মতো চরিত্র মানুষকে মানবিকতা সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শেখায়। মানুষ মানুষের জন্য। অন্যের জয়ে যে নিজের আনন্দ হতে পারে, এর জন্য যে ত্যাগ করা যায় গৌরি চরিত্রটি তার অন্যতম উদাহরণ। যে কি না মনোজের চূড়ান্ত পর্ব পাশ করার জন্য নিজের ঘর ছেড়ে দিতে পারেন। এমন উদাহরণ কম, কিন্তু আছে।
৭. বড় হতে গেলে পৃথিবীতে কোনো কাজই ছোট না। মনোজ বড় হতে চান তাই ত্নি রেস্তোরাঁর বাসন ধোঁয়া থেকে শুরু করে লাইব্রেরির বাথরুমও পরিষ্কার করতে দ্বিধা করে না। টয়লেট পরিষ্কার করেছিলেন যে মনোজ তিনি হলেন ভারতের আইপিএস অফিসার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।