বিনোদন ডেস্ক : সকলেই জানেন যে কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স বিষ্ণোই ২০১৮ সালে সালমান খানকে খুনের হুমকি দেন। জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের সঙ্গে জড়িত বিষ্ণোইকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
১৯৯৮ সালের চিঙ্কারা হত্যার ঘটনার পরে সালমান খানের হত্যার পরিকল্পনা করেন বিষ্ণোই। সেই কথা স্বীকার করেছেন তিনি নিজে। হাম সাথ সাথ হ্যায় সিনেমার শুটিং চলাকালীন রাজস্থানের যোধপুরে চোরা শিকারের এই ঘটনা ঘটে।
বিষ্ণোই জানিয়েছেন তিনি রাজস্থানের গ্যাংস্টার এবং তার সহযোগী সম্পত নেহরাকে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অভিনেতার বাড়ির আশেপাশে খোঁজ নিতে বলেন। সেই সময়ে, নেহরা সালমানকে গুলি করতে পারেননি। সেই সময় তাঁর কাছে কেবল একটি পিস্তল ছিল। গ্যাংস্টার বিষ্ণোই তখন দীনেশ ফৌজি নামে এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে চার লক্ষ টাকার আরকে স্প্রিং রাইফেলের অর্ডার দেন।
ডাগরের সহযোগী অনিল পান্ডেকে এই টাকা দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই রাইফেলটি পরে ২০১৮ সালে ডাগরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত মাসে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তিন সদস্য সালমান খান এবং তার বাবা সেলিম খানকে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয় যে সালমান খান এবং তার বাবার অবস্থা মুসেওয়ালার মতো হবে। মুসেওয়ালাকে ২৯ মে পঞ্জাবের মানসায় খুন করা হয়।
তিনি আরও বলেন যে কৃষ্ণসার বা চিঙ্কারাকে হত্যা করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে তার জন্য অভিনেতাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে রেডির সেটে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। যদিও সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়।
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে যোধপুরের একটি আদালত সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। অভিনেতা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন। এই মামলায় সলমনকে কিছুদিন যোধপুর কারাগারে রাখা হয়। পরে তাকে ভরতপুর কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।