বিনোদন ডেস্ক : নিজের সাংসারিক জীবন নিয়ে মন্তব্য করে মিডিয়ায় বোমা ফাটিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, নিজের ছেলেমেয়েদের পালিয়ে বিয়ে করতে।
হঠাৎ ছেলেমেয়েদের এমন পরামর্শ দিলেন কেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রী; সে সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে টুইঙ্কেল বলেন, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি আমি আর অক্ষয় বিয়ে করি। ২৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে আমাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
টুইঙ্কেল আরও বলেন, আমার সন্তানদের প্রায়ই আমি পরামর্শ দিই, পালিয়ে বিয়ে করার। কারণ আমি আর অক্ষয় মোটেও বিয়ের মতো এত বড় ইভেন্ট সামলানোর মতো যোগ্যতা রাখি না।
এরপরই টুইঙ্কেল বলেন, অক্ষয় কখনও ১০ টার বেশি রাত জাগতে পারে না। আমাদের বাড়িতে ডিনার পার্টি দিলে ২০ জনের বেশি হলেই আমরা ভড়কে যাই। অতিথিদের ঠিকমতো সামাল দিতে পারছি কিনা সে বিষয় নিয়ে সারাক্ষণ টেনশনে থাকি। তাই ছেলেমেয়েদের সব সময় বলি, পালিয়ে বিয়ে করো।
হঠাৎ সন্তানদের পালিয়ে বিয়ে করার পরামর্শ দিচ্ছেন কেন টুইঙ্কেল? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন অক্ষয়- টুইঙ্কেল। সেখানে গিয়ে সন্তানদের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে আবারও চিন্তায় পড়ে যান তারা।
অনন্ত আম্বানির প্রাক- বিয়ের এত বড় ইভেন্ট আর এত আমন্ত্রিত অতিথি দেখে মুগ্ধ হন অক্ষয়-টুইঙ্কেল। কিন্তু সন্তানের বিয়ের আয়োজনে এভাবে এত মানুষের নিমন্ত্রণ, তাদের ঠিকমতো আপ্যায়নের বিষয়টি মাথায় আসতেই ভড়কে যান অভিনেত্রী। তাই ছেলেমেয়েদের নিজের পরামর্শ আবারও স্মরণ করিয়ে দেন টুইঙ্কেল খান্না। এতে রয়েছে অক্ষয়ের সম্মতিও। তবে সত্যি কি কোনো আয়োজন ছাড়া নিজের সন্তানের বিয়ে দিবেন এ তারকা দম্পতি? এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে বিয়ের পর ২০০২ সালে প্রথম সন্তান আরাভের জন্ম দেন টুইঙ্কেল। এর ১০ বছর পর ২০১২ সালে কন্যাসন্তান নিতারা আসে অক্ষয়- টুইঙ্কেলের সংসারে। এরপর বলিউডে ক্যারিয়ার না গড়ে স্বামী, সংসার আর সন্তানের দিকেই মনোযোগী হয়ে পড়েন বলিউড অভিনেতা রাজেশ খান্নার কন্যা টুইঙ্কেল খান্না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।