বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন গণছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে। ১০ হাজারের বেশি কর্মীকে এই বহুজাতিক সংস্থা থেকে বিদায় নিতে হতে পারে। শুধু কর্মী ছাঁটাই নয়, সেই সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্থাটি খরচেও কাটছাঁট করতে চলেছে।
সম্প্রতি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সংবাদের শিরোনামে টুইটার ও মেটা। এই দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছাঁটাই সংবাদের রেশ না কাটতেই এবার গণছাঁটাই করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি, গত কয়েক মাস ধরে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে অ্যামাজন। ফলে কর্তৃপক্ষ গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সারাবিশ্বে অ্যামাজনে প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ চাকরি করেন। অ্যামাজন থেকে যদি সত্যিই ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়, তবে সংস্থার ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় গণছাঁটাই।
অ্যামাজনের গণছাঁটাই প্রক্রিয়ায় শুরুতেই কোপ পড়তে পারে ‘অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট’-এর মতো যন্ত্রভিত্তিক বিভাগগুলোতে। জানা গেছে, গত কয়েক মাসে অ্যামাজনের কিছু অলাভজনক বিভাগের কর্মীদের সংস্থার তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সংস্থার মধ্যেই অন্য বিভাগে সুযোগ খোঁজার ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে কিছু কর্মীকে।
করোনাভাইরাসের অতিমারির সময় অ্যামাজনের মতো অনলাইন কেনাবেচার সংস্থাগুলোর দিকে ঝুঁকেছিলেন সাধারণ মানুষ। ফলে তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ফের অতিমারি-পূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরে গিয়েছে বিশ্ব। অ্যামাজনে কেনাকাটার হার তাই তুলনামূলক কমেছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কঠোর আর্থিক নীতি ও মুনাফার দুর্বল পূর্বাভাসের কারণে পুঁজিবাজারে অ্যামাজনের শেয়ারদর নিম্নমুখী। সব মিলিয়ে গত ১৬ মাসে কোম্পানিটির বাজারমূল্য কমেছে এক লাখ কোটি ডলার।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অ্যামাজনের তরফে জানানো হয়েছিল যে চলতি বছরে উৎসবের মরশুমে (বড়দিন এবং নববর্ষ) সংস্থার ব্যবসার পরিমাণ আগের তুলনায় হ্রাস পাবে। যদিও এই সময়কালেই সংস্থার সবথেকে বেশি আয় হতো আগের বছরগুলোতে। এই আবহে আয় কমার সতর্কবার্তার পরই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে অ্যামাজন।
অ্যামাজনের বক্তব্য, আমেরিকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। এই আবহে গ্রাহকদের কাছে খরচ করার মতো টাকা নেই। চলতি বছরে অ্যামাজনের শেয়ারের মূল্য এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে টুইটার। ইলন মাস্কের মালিকানায় সংস্থার প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীর চাকরি গিয়েছে নিমেষে। এর পর বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা থেকেও। এছাড়া মাইক্রোসফট, স্ন্যাপের মতো সংস্থাও কর্মী ছাঁটাই করেছে। একই পথে হাঁটতে চলেছে অ্যামাজনও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।