জুমবাংলা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সাবেক দুই এমপিসহ ৮ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
এদের মধ্যে মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসন থেকে বিএনপি মনোনীত তিনবার নির্বাচিত এমপি, এলডিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা ও সর্বশেষ তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল গনি রয়েছেন।
সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল পাখি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৪৪০টি।
অপরদিকে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসন থেকে তিন বারের সাবেক এমপি তৃণমূল বিএনপি থেকে নির্বাচনে সোনালী আঁশ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন মাত্র ২৯১ ভোট।
এছাড়া মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত আব্দুল হামিদ লাঙ্গল প্রতীকে ৮২০ ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে কেতাব আলী বিএসসি পেয়েছেন ৮৯৬ ভোট।
মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত তরিকুল ইসলাম লিটন আম প্রতীকে ৪৫৯ ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে গোলাম রসুল পেয়েছেন ২০৮ ভোট।
মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) মনোনীত বাবলু জম ছড়ি প্রতীকে ২৪১ ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে একই দলের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম শাহজামাল ২৯৪ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আল ফারুক ডাব প্রতীকে ২৭৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে, মনোনয়নপত্র কেনার সময় একজন প্রার্থীকে জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকা নির্বাচন কমিশনে জমা রাখতে হয়।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ বা তার বেশি ভোট পেলে জামানত হিসেবে রাখা ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
এদিকে বিএনপি ও এলডিপির সাবেক নেতা বর্তমান তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল গনির শোচনীয় পরাজয় এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বার বার দল পাল্টানোতে তাকে পল্টিবাজ, সুযোগ সন্ধানী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে গাংনীবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।