জুমবাংলা ডেস্ক : রিপন মাতাব্বর ও বাদল মাতাব্বর দুই ভাই। পেশায় দুজনই চোর। একসঙ্গে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছেন তারা। তাদের সঙ্গে আরো কয়েকজন রয়েছেন।
কেউ মোটরসাইকেল পার্ক করে রেখে গেলে বাদল মাতাব্বর মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ রাখেন। আর তার বড় ভাই রিপন মাতাব্বরের কাছে থাকা আলীবাবা নামে খ্যাত ‘মাস্টার কি’ দিয়ে লক খুলে কয়েক সেকেন্ডে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
১১টি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশাসহ চোরচক্রের সদস্য দুই ভাই বাদল ও রিপন মাতব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব চোরাই মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করে ডিবি-গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ডিএমপির ভাটারা ও গুলশান থানার দুটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাদল মাতাব্বর ও রিপন মাতাব্বর নামে আপন দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য নিয়ে গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা গত আট বছরে রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল, টিএসসি, নগর ভবন, গুলিস্তান, ধানমণ্ডি লেক, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে।
পুলিশের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে রিপন মাতব্বরের নামে তিনটি মাদকসহ ২০টি চুরি মামলা ও তার ভাই বাদলের নামে তিনটি চুরি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
চুরি করা এসব মোটরসাইকেল কম টাকায় ক্রয় করে যারা ব্যবহার করে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।