আরও দুটি পাসপোর্ট অফিস হচ্ছে ঢাকায়

আরও দুটি পাসপোর্ট অফিস

জুমবাংলা ডেস্ক : পাসপোর্টের ছবি, চোখের মণির প্রতিচ্ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পাসপোর্টপ্রত্যাশীরা। সকালের নরম আলোতে একজন পাসপোর্ট অফিসে ঢুকলে সূর্য ডুবে যাবে, কিন্তু এই কাজ তিনটি শেষ হবে না। অথচ দুই মিনিটের এ কাজটুকু হয় একই টেবিলে, একই ব্যক্তির হাতে।

আরও দুটি পাসপোর্ট অফিস

এ প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী বলেছেন, ঢাকায় এখন আগারগাঁও ছাড়া উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক অফিস থেকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। শিগগিরই আমরা ঢাকায় আরও দুটি অফিস স্থাপন করব। ঢাকার পূর্বাচলে এবং পশ্চিমে বছিলার দিকে আমরা অফিস খুলছি। এগুলো চালু হলে চাপ কিছুটা কমবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাসপোর্ট যারা নিতে আসেন তাদের আমরা আরও ভালো সেবা দিতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সময় সেটা সম্ভব হয় না। সার্ভার ডাউন হওয়ার তথ্য আমার কাছে নেই। চেক করে দেখতে হবে। আগারগাঁওয়ে দিনে মাত্র এক হাজার লোককে সেবা দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু সেবা নিতে আসে প্রায় পাঁচ হাজার লোক। আমি সংশ্লিষ্টদের বসার জন্য চেয়ার দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ভবনগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যে সেবাগ্রহীতাদের চেয়ার দেওয়ার জায়গা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয়েছে। কভিডের দুই বছর মানুষ পাসপোর্ট করতে পারেনি। সেই চাপ এখন এসে পড়েছে। অনেক মানুষ পাসপোর্ট চায়। আমি চেয়েছি স্টেডিয়ামের মতো বড় বড় জায়গা। ছোট জায়গায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। সুপার এক্সপ্রেসের টাকা জমা দিলে দিনে দিনেই সেবা পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার পাসপোর্টে ইস্যু হয়। সমপরিমাণ পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট হয়। তাহলে গড়ে ২০ হাজার ধরলেও ৪০ হাজার পাসপোর্টের কাজ হয়। এ পাসপোর্টের জন্য ৮০ হাজার লোক পাসপোর্ট অফিসে যায়। অথচ আমার জনবল মাত্র ১ হাজার ১০০ জন। আগে চার-পাঁচটি অফিস থেকে পাসপোর্ট দেওয়া হতো। এখন সেটা সব জেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ৬৪ জেলার ৬৯টি অফিস থেকে পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় এখন আগারগাঁও ছাড়া উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক অফিস থেকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। শিগগিরই আমরা ঢাকায় আরও দুটি অফিস স্থাপন করব। ঢাকার পূর্বাচলে এবং পশ্চিমে বছিলার দিকে আমরা অফিস খুলছি। এগুলো চালু হলে চাপ কিছুটা কমবে।

পাসপোর্ট অফিসের জনবল সংকটের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। বর্তমানে ১ হাজার ১০০ লোক কাজ করলেও দেড় বছর আগে আরও জনবল বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া দেয়নি সরকার।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস

Previous Article

ইতালির কাজের ভিসার ডিক্রি ঘোষণা, সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরাও

Next Article

উপহারের গাড়ি নিতে হবিগঞ্জ যাচ্ছেন হিরো আলম